নিজাম উদ্দিন হাজারী

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র এখনো জমা পড়েনি। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফেনী জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যক্তিপর্যায়ে বন্দুক, শটগান, পিস্তল ও রাইফেলসহ ১০৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করলেও ১০০টি অস্ত্র কেনা হয়েছিল। এসব অস্ত্র আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশেষ ব্যক্তিদের কাছে ছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে এসব অস্ত্র আইনি ও বেআইনি দুইভাবেই ব্যবহার করেছেন। জেলায় মোট ৯৩টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। লাইসেন্সকৃত বাকি সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র এখনো জমা পড়েনি।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, জমা না পড়া লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তার স্ত্রীর নামে তিনটি এবং সোনাগাজী পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের দুটি অস্ত্র রয়েছে। জমা না হওয়া বাকি অস্ত্রের তথ্য পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ছয়টি থানায় ৬৬টি, জেলার বাইরে বিভিন্ন থানায় ২৫টি অস্ত্র জমা পড়েছে। এ ছাড়া দুটি অস্ত্র জেলা ট্রেজারিতে আগে থেকেই জমা দেওয়া ছিল। গত কয়েক দিনে সবমিলিয়ে মোট ৯৩ অস্ত্র জমা দেওয়ার তথ্য মেলেছে।

ফেনীর জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যক্তিপর্যায়ে লাইসেন্স দেওয়া অস্ত্রের মধ্যে সাতটি এখনো জমা পড়েনি। ফেনীর ছয়টি থানা ছাড়াও অনেকে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র জমা দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন থানায় জমা দেওয়া অস্ত্রের তথ্য এখনো আসছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৯৩টি অস্ত্র জমা দেওয়ার তথ্য রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ বছরে বেসামরিক জনগণকে দেওয়া বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) শেষ হয় সব ধরনের অস্ত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা। ওইদিন রাত ১২টা থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধারে মাঠে নামে যৌথ বাহিনী। এ যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।

তারেক চৌধুরী/এমজেইউ