গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবিতে আটকে রাখা ট্রেন দুই ঘণ্টা পর গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। এ সময় আরও দুটি ট্রেন আটকে থাকে, এতে দুর্ভোগে পড়ে কয়েক হাজার যাত্রী।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টায় রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনে সকল কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। এ সময় জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন আটকে রাখেন তারা।

স্থানীয় লোকজন জানান, রাজেন্দ্রপুর রেল স্টেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দীর্ঘদিন যাবত কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি।

রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আমিনুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন যাবৎ এলাকাবাসী বিভিন্ন ধরনের সকল লোকাল কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি জানিয়ে এলাকায় মাইকিং করেছেন। ব্যানার ও পোস্টার ছাপিয়ে রোববার মানববন্ধনের কথা জানিয়ে আসছিল। সে মোতাবেক আজ (রোববার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা স্টেশন চত্বরে মানববন্ধন শুরু করেন। জামালপুর কমিউটার ট্রেনটি ঢাকা অভিমুখে যাওয়ার জন্য স্টেশনে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই ইঞ্জিনের সামনে অবরোধ করে লাল ব্যানার টানিয়ে রাখেন তারা। এ সময় তারা দাবি জানান, যতক্ষণ না পর্যন্ত স্টেশনে যাত্রাবিরতির ঘোষণা দেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ট্রেন চালানো যাবে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এ ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই যাত্রী দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয় লোকজন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত বিকেল থেকে ফের আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দিয়ে জামালপুর কমিউটার ট্রেনটি চালাতে দেন। তারা প্রতিদিনই দুই মিনিট করে রাজেন্দ্রপুর রেল স্টেশনে কমিউটার ট্রেনগুলোর যাত্রা বিরতির দাবি জানান।

পরে দুই ঘণ্টা পর বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাজেন্দ্রপুর স্টেশনের লাইন বন্ধ থাকায় ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন শ্রীপুর রেলস্টেশনে ও অগ্নিবিনা এক্সপ্রেস ট্রেন ভাওয়াল গাজীপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। এতে দুর্ভোগে পরে তিনটি ট্রেনের কয়েক হাজার যাত্রী।

শিহাব খান/এএমকে