সাধারণ ক্ষমা করার অধিকার জামায়াতকে কে দিয়েছে: হারুনুর রশিদ
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেছেন, বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল বলেছেন তাদেরকে (আওয়ামী লীগ) ক্ষমা করে দিয়েছি। আমাদের রক্ত শুকাইনি, গত ১৫ বছরে এই দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে, যারা এইদেশের রক্ত চুষেছে, জানিনা কী উদ্দেশ্য নিয়ে এতো তাড়াতাড়ি তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করছেন। কে অধিকার দিয়েছে আপনাদেকে, কে দায়িত্ব দিয়েছে আপনাদেরকে?
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর পার্কে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা ও পৌর বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠেনের আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আপনাদের নেতা মতিউর রহমান নিজামী, দেলোয়ার হোসেন সাইদীসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে তাদেরকে ফাঁসি দিয়েছে। তাদের কী বিচার চান না আপনারা? আমরা চাই বাংলাদেশে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। আন্তজার্তিক ট্রাইবুন্যাল গঠন করে শেখ হাসিনাসহ সমস্ত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে চাই। এই শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা রয়েছে তা বাতিল করতে হবে এবং নতুন বাংলাদেশ ও সম্ভাবনার দ্বার যাদের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে সেই বীর শহীদদের পরিবারকে শহীদী মর্যাদা দান করতে হবে। আর যারা আহত হয়েছে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদেরকেও রাষ্টীয় সম্মান ও মর্যাদা দান করতে হবে।
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রহসনের যে নির্বাচন, দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা, এই দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করা এবং এর জন্য যারা দায়ী আমরা তাদের বিচার চাই, বিচার করতে হবে। বাংলাদেশে যারা আজকে গুমের শিকার হয়েছে, বিনা বিচারে যারা হত্যার শিকার হয়েছে, যারা জুলুম নিপীড়নের মধ্য দিয়ে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে তাদেরকে কী আমরা মাফ করতে পারি? যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার আমরা চাই।
পুলিশ বাহিনীকে পুনরায় গঠনের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, পুলিশ বাহিনীকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্র শিশুদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে তারা। এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পুলিশের সবাই দায়ী নয়। যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পুলিশের পোশাক ও লোগো পরিবর্তন করতে হবে। পুলিশকে নতুনভাবে গঠন করতে হবে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তসিকুল ইসলাম তসি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বারেক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জামিউল হক সোহেল, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তবিউল ইসলাম তারিফ, রানিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রহমত আলী, বিএনপি নেতা শামসুল হক, আ ক ম শহিদুল আলম বিশ্বাস পলাশ, তাসেম আলী আরও অনেক নেতাকর্মী।
আশিক আলী/আরকে