বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, আমাকে ৭০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। আমার কানাডার ভিসা ছিল, আমেরিকার ভিসা ছিল। দলের অনেকেই আমাকে বলেছিলেন বিদেশে চলে যেতে, আমি যাইনি। আমি পরীক্ষা দিতে এসেছি। আমি তালা-কলারোয়ার মানুষের সঙ্গে বেঈমানি করিনি। আজ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশ এখন হাসিনামুক্ত।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে মানুষ ঘরে থাকতে পারেনি। অসংখ্য আলেম-ওলামাকে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটানো হয়েছে।

কারামুক্ত হয়ে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রথমবারের মতো সাতক্ষীরার তালায় এলে কুমিরা হাইস্কুল মাঠে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে চিরতরে বিদায় করে ছাত্র-জনতা বাংলাদেশকে হাসিনামুক্ত করেছে। ছাত্র-জনতার এই বিপ্লব সফলে বিএনপি-জামায়াতেরও ভূমিকা ছিল। বিএনপি-জামায়াত না থাকলে এই বিপ্লব সফল হতো না।

এসময় হাবিবুল ইসলাম হাবিব নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ক্ষতি না করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে চরিত্র দেখিয়েছে, সেই চরিত্র আমরা দেখাতে পারি না।

এসময় বিএনপির এ নেতা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দানকারী আবু সাইদ, মুগ্ধ ও আসিফসহ অন্যদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃনাল কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, রংপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীন, খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম, হাবিবুল ইসলাম হাবিবের স্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শাহানারা আক্তার বকুল, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসান, তালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে খুলনার চুকনগর থেকে হাবিবুল ইসলাম হাবিবের গাড়িবহরকে স্বাগত জানিয়ে তালার কুমিরা হাইস্কুল মাঠে নিয়ে আসেন বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীরা। এসময় রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান সাধারণ মানুষ। তার এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে কয়েক হাজার জনতার সমাগম হয় কুমিরায়।

ইব্রাহিম খলিল/এসএসএইচ