বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনায় জয়পুরহাটের সাবেক দুই সংসদ সদস্য (এমপি)সহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) মোরসালিন হোসেন নামের এক তরুণ এ মামলা করেন। পুলিশ ওইদিন রাতে মামলাটি গ্রহণ করলেও শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।

মামলার বাদী মোরসালিন জয়পুরহাট সদর উপজেলার হালট্টি পুরানাপৈল গ্রামের মৃত সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে। মামলার আসামি সাবেক ওই দুই সংসদ সদস্য হলেন সাবেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাটে-২) ও সামছুল আলম দুদু (জয়পুরহাট-১)।

এ ছাড়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ছাত্রলীগ কর্মী হামিম মোল্লা, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেনসহ আরও ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অন্তত ১২০ জন অজ্ঞাতপরিচয়ের ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে মোরসালিন যোগ দেন। এদিন দুপুর পৌনে ১টার দিকে জয়পুরহাট সার্কিট হাউস এলাকায় এ আন্দোলনে উপস্থিত ছাত্র-জনতার ওপর ওই দুই সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে আসামিরা হামলা করে। এসময় হামিম মোল্লার ছোঁড়া গুলিতে মোরসালিন আহন হন। এ ঘটনার সময় অস্ত্র সরবরাহ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। ঘটনার সময় ৯০ জন শিক্ষার্থীসহ অনেক ছাত্র-জনতা গুরুতর জখম হন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

জয়পুরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মোরসালিন হোসেন নামের এক তরুণ বাদী হয়ে ৩৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে।

চম্পক কুমার/এসএসএইচ