ভোলার মেঘনা নদীতে জাল ফেলা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মো. রিয়াজ (২৫) নামে এক মাঝি নদীতে নিখোঁজ হয়েছেন। সংঘর্ষের পরপরই অভিযুক্ত মাহে আলম মাঝিসহ অন্যরা পলাতক। তবে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। 

নিখোঁজ মো. রিয়াজ মাঝি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা বড় মানিকা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাটামারা গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির বলু পাটোয়ারী ওরফে তোফায়েলের ছেলে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে জেলার দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তরা একই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সেন্টার বাজার গ্রামের বাসিন্দা।

নিখোঁজ রিয়াজ মাঝির বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, মেঘনা নদীর দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীতে একটি ডিঙ্গী নৌকায় জাল ও দুইজন সঙ্গী নিয়ে শুক্রবার ভোরে মেঘনা নদীতে গিয়ে জাল ফেলেন রিয়াজ মাঝি ও তার ভাগীরা। একই সময় একই স্থানে একটি বড় ট্রলার নিয়ে নদীতে গিয়ে তাদের জালের পাশেই জাল ফেলেন অভিযুক্ত মাহে আলম মাঝি ও তার ৭ জন ভাগী এবং জেলেরা।

তারা আরো জানান, এক পর্যায়ে নিখোঁজ রিয়াজ মাঝির জাল অভিযুক্ত মাহে আলম মাঝির জালের সঙ্গে লেগে প্যাঁচ লাগলে মাহে আলম মাঝি, মামুন, হুমায়ুন, শরীফসহ প্রায় ৭ জন উত্তেজিত হয়ে রিয়াজ মাঝির ট্রলারে হামলা চালান ও সবাইকে মারধর করেন। হামলার এক পর্যায়ে তাদের ট্রলারের বৈঠা দিয়ে রিয়াজ মাঝির মাথায় আঘাত করলে রিয়াজ নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। বাকি দুইজন আহত হন এবং জীবিত উদ্ধার হন।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা মেঘনা নদীর তীরবর্তী শরাজগঞ্জ মাছঘাট এলাকার মনির মাঝি জানান, শুনছি জাল পাতা নিয়া পিডাপিডি কইরা রিয়াজরে ট্রলারে বৈঠা দিয়ে পিডায়া নদীতে ফালাইয়া দিছে, আজকে দুইদিন হইছে তারে এখনো খুইজ্জা পাওয়া যায়নাই।

মহিউদ্দিন মাঝি জানান, রিয়াজ মাঝি নিখোঁজ হওয়ার পর তার আত্মীয়স্বজনের সাথে আমিও নদীতে যাইয়া রিয়াজকে খুঁজছি, তবে পাইনাই। নদীতে এখনো রিয়াজকে খুঁজতেছে তার স্বজনরা। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাব্বারুল ইসলাম জানান, মেঘনা নদীতে নিখোঁজ জেলে রিয়াজের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

খাইরুল ইসলাম/পিএইচ