নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় ফের লুটপাট করে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় কারখানার বিভিন্ন মেশিনের যন্ত্রাংশ ও লোহার টুকরা লুট করে নিয়ে যেতে দেখা যায় তাদের। এ নিয়ে তিন দফা লুটপাট ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে কারখানাটিতে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জন দুর্বৃত্ত গাজী টায়ার কারখানায় প্রবেশ করে লোহার যন্ত্রাংশ লুট করতে থাকে। তখন এদেরই একটি অংশ গাজী টায়ার কারখানার ভেতরে ওয়েস্টেজ সেকশনে আগুন লাগিয়ে দেয়। মুহূর্তেই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। 

এর আগে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর প্রথম দফা লুটপাট ও আগুন লাগানো হয় এই কারখানায়। এরপর ২৫ আগস্ট সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী গ্রেপ্তারের পর দ্বিতীয় দফা লুটপাটের পর আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর আজ (শুক্রবার) তৃতীয় দফা লুটপাটের পর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

রুপসী এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ আলম বলেন, আমার বাসা থেকে আগুনের ধোঁয়া দেখে দৌড়ে আসি। এসে দেখি ৪০ থেকে ৫০ জনের মতো লোক লোহার জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। এখানকার সিকিউরিটি ও আমরা এলাকাবাসী কয়েকজনকে ধরে বেঁধে রেখেছি। 

সিকিউরিটি হাফিজুর রহমান বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারখানার পূর্ব পাশের কাঁটা তার ভেঙে বেশ কিছু লোক মিক্সিং ভবনে ঢুকে লোহার বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যায়। কিছুদিন আগেও এই ভবনে আগুন লেগে কত মানুষ মারা গেল। কিন্তু এরপরও তাদের ভেতরে ভয় নাই। আবারও এই কারখানায় লুটপাট করতে ঢুকে পড়ল। আমরা কয়েকজনকে ধরেছি। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় রূপগঞ্জের গাজী টায়ারের এ কারখানায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে দীর্ঘ ২১ ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় ১৮৭ জনের মতো নিখোঁজ ছিল। ভবনটির ৫ ও ৬ তলা ধসে পড়ায় সেখানে আর উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

মেহেদী হাসান সৈকত/এএমকে