নোয়াখালীর ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ খালাসি সুমন গ্রেপ্তার
১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত নোয়াখালীর `শীর্ষ সন্ত্রাসী' আমজাদ হোসেন সুমন ওরফে খালাসি সুমনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে বেগমগঞ্জ থানার চৌমুহনী পূর্ব বাজার এলাকা থেকে র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে। সুমনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, হত্যাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে।
আমজাদ হোসেন সুমন ওরফে খালাসি সুমন নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন চৌমুহনী পৌরসভাস্থ পৌর হাজীপুর এলাকার মৃত লুৎফল হকইলাতু মিয়ার ছেলে।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ সূত্রে জানা যায়, খালাসি সুমন পেশায় একজন অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী। সে ও তার বাহিনীর সদস্যরা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এলাকার লোকজন তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সর্বদা আতঙ্কগ্রস্ত থাকেন। এলাকার লোকজন তাদের এরূপ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস করতো না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বাহিনীর লোকজন কর্তৃক উক্ত ব্যক্তিকে মারধরসহ নির্যাতন করতো। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বিশেষ করে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে মর্মে অভিযোগ আসে। সেই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩-এর চৌকস অভিযানিক দল শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, খালাসি সুমনের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, চুরি, মাদক ও হত্যা মামলাসহ সর্বমোট ১৩টি মামলা রয়েছে। একটি অস্ত্র মামলায় সে ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি। এ ছাড়াও গত ২০ আগস্ট সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা হয় যার আসামি এই সুমন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাইমুড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে। আর কেউ সুমনের নামে চাঁদাবাজি করতে পারবে না।
হাসিব আল আমিন/এএমকে