জামালপুরে সিকদার গ্রুপের মতিয়ারা পাওয়ার প্লান্টে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। 

অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তাকর্মীদের জিম্মি করে ডাকাতরা কয়েক কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্লান্টটির ব্যবস্থাপক আলমগীর।

নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা জানান, গত বুধবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে ইলেকট্রিশিয়ানদের খোঁজার কথা বলে প্লান্টে প্রবেশ করে। অস্ত্র সজ্জিত ডাকাতদল আনসার বাহিনীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। প্লান্টের স্টোর রুম থেকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে ডাকাতি করে। এ সময় প্লান্টের ভেতরে থাকা কন্টেইনারের তালা ভেঙে কয়েক কোটি টাকা ক্যাবল ও যন্ত্রপাতি লুট করে। এছাড়াও প্ল্যান কন্ট্রোল রুমে থেকে ৭টি কম্পিউটার, সিসি টিভির হার্ডডিস্ক, এনভিআরসহ মালামালগুলো তারা ট্রাক দিয়ে নিয়ে যায়।

সিকদার গ্রুপের ১০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন মতিয়ারা পাওয়ার প্লান্টটি ২০১৭ সালের ১লা মার্চে উদ্বোধন করা হয়। তবে জ্বালানি সংকটের কারণে ২০২২ সালের দিকে প্লান্টটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্লান্টের যন্ত্রাংশ সচল রাখতে নিরাপত্তা কর্মী ও কিছু সংখ্যক জনবল এটির দেখভাল করতো।

ইলেক্ট্রিশিয়ান নিহাম বলেন, রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমি ওয়াসরুম থেকে বের হওয়ার সময় আমাকে কয়েকজন ধরে হাত বেঁধে ফেলে। পরে একে একে প্রায় সবাইকে তারা আমাদের একটি রুমে আবদ্ধ করে অস্ত্র তাক করে জিম্মি করে রাখে। পরে আমাকে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক কোথায় আছে তা বলতে বলে৷ আমি জানি না বললে তারা অনেক মারধর করে ও গলায় ও পেটে ছুরি ধরে মেরে ফেলার হুমকি দিলে আমি কম্পিউটার দেখিয়ে দেই। ডাকাতরা আমাদের সবাইকে হাত পা ও মুখ বেঁধে রাখে। পরে সকাল বেলায় আমরা তাদের সাড়া শব্দ না পেয়ে মুখ দিয়ে বাঁধন খুলি। তাদের সবার মুখে মাস্ক ছিল।

আনসার সদস্য সোলায়মান বলেন, আমাকে পেছন থেকে চারজন এসে হাত ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে আমাদের একঘরে নিয়ে বন্দি করে রাখে।

প্লান্ট ব্যবস্থাপক আলমগীর বলেন, সকালে খবর পেয়ে আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাই। তারা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমাদের প্রায় ২২ জন কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মীদের জিম্মি করে প্লান্টের প্রায় কয়েক কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা করব।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত কবির জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মুত্তাছিম বিল্লাহ/এমএ