মেহেরপুরে সরকারি নির্দেশনা মেনে স্ব-স্ব থানায় আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছেন লাইসেন্সধারীরা। মালিকরা নিজে বা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের বে-সামরিক অস্ত্র জমা দেন।

বৃহস্পতিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক।

জানা গেছে, মেহেরপুরে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ৯৩টির মধ্যে ৭৩টি জমা পড়েছে। বাকি ২০টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামরিক ব্যক্তিদের। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত এসব অস্ত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর থানায় ৩৯টি, গাংনী থানায় ২৯টি এবং মুজিবনগর থানায় পাঁচটি অস্ত্র জমা পড়ে।

মেহেরপুর জেলায় বর্তমানে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্রের লাইসেন্স আছে মোট ৩০২টি। ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত নতুন করে বৈধ অস্ত্রধারী হয়েছেন ১১৪ জন। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে নীতিমালা পালন না করেই রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। নতুন বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা, বিভিন্ন সময়ে মেহেরপুর জেলায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে বাদ যাননি বিএনপির নেতা ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারও।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের পর মেহেরপুর বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্রের লাইসেন্স আছে ৩০২টি। গত ১৫ বছরে লাইসেন্স পেয়েছেন ১১৪টি। এর মধ্যে এক নলা বন্দুক ১৪টি, দুই নলা বন্দুক ২৭টি, শর্টগান ২৬টি, এনপিবি পিস্তল ১৫টি, পিস্তল তিনটি, ১২ বোর রাইফেল একটি ও ২২ বোর রাইফেল দুইটিসহ আরও কয়েক ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র।

গত ২৫ আগস্ট একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স (কর্মরত সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তা ব্যতীত) স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। স্থগিতকৃত লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ সমূহ আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহীতারা সংশ্লিষ্ট থানায় অথবা বর্তমান বসবাসের ঠিকানার নিকটস্থ থানায় জমার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লাইসেন্সধারীরা নিজে বা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্ব স্ব থানায় জমা দেন।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক বলেন, সরকারের নির্দেশ মোতাবেক জেলার তিনটি থানায় আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। জেলার মধ্যে শতভাগ আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে।

আকতারুজ্জামান/এফআরএস