ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই আকবর হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দাগনভূঞা আমলী আদালতে একই উপজেলার মেহেদীপুর গ্রামের মো. স্বপন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমান পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন– মো. মনছুর ভূঁইয়া, ইউসুফ, শাহীন, ইলিয়াস, মিজানুর রহমান, নাসির, জসীম উদ্দিন, আবুল কালাম ও মিলন। তারা সবাই দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, স্বপনের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আসামি ইউসুফের সম্পত্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এসবের জের ধরে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে লোহার রড, রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্বপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বসতঘরে হামলা চালিয়ে জখম করে। এসময় তারা বাড়িঘর ভাঙচুর, স্বর্ণালংকার লুট ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। পরে স্বপনের স্ত্রী চিৎকার শুরু করলে তাকেও মারধর করে শ্লীলতাহানি করে।

এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় দাগনভূঞা থানা মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় বলে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী স্বপন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোশাররফ হোসেন খোন্দকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই ব্যক্তি বাদী হয়ে দাগনভূঞার আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত আকবর হোসেন বলেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সবুজের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ থাকায় দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার সহযোগী স্বপনকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে এ মামলা করিয়েছে।

তারেক চৌধুরী/এসএসএইচ