খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মো. ফারুক মীর নামের এক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত ফারুক মীর তেরখাদা উপজেলার কোলা গ্রামের গাউস মীরের ছেলে। তিনি তেরখাদার মধুপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক।

এ ছাড়া আহতরা হলেন– নুরু মোল্লা, জসিম মীর, গাউস মীর ও ইলিয়াস। তারা বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে নুরু মোল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আকতার জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তেরখাদার কোলা গ্রামের কয়েকটি পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার কোলা বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছে।

এদিকে, যুবদলে নেতা ও ইউপি সদস্য ফারুক মীরকে হত্যার ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে খুলনা জেলা বিএনপির নেতারা।

বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, তেরখাদার মধুপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফারুককে রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় কুলাবাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মম এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনা শুনে হাসপাতালে গিয়ে শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা ও সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খানসহ নেতারা। ফারুকের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন খুলনা বিএনপির নেতারা।

বিবৃতিদাতারা হলেন– খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী।

এসএসএইচ