নীলফামারীতে বিএনপি অফিস ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান নূর ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ ১২৬ জনের নামে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১-এ মামলাটি করেন। 

একই মামলায় নীলফামারী সদর থানার সাবেক ওসি তানভিরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও এই মামলায় ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী আসাদুজ্জামান রিনো মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন কবীর মামলাটি গ্রহণ করে সদর থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। 

মামলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার সাবেক মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি দেওয়ান সেলিম আহমেদ, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ইয়াহিয়া আবিদ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ প্রমুখ।

অভিযোগ মতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হন ছাত্র-জনতা। আন্দোলন দমনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে সমবেত হতে থাকেন। দুপুর ২টার দিকে সদর থানা পুলিশের ওসি তানভিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সরকারি অস্ত্রের অপব্যবহারের মাধ্যমে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে আসামিদের রাস্তায় নামার সুযোগ করে দেন। এ সময় ছাত্র-জনতার অনেকে আহত হন। আসামিরা জেলা বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের কার্যালয়ে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুট করেন। এতে করে আনুমানিক ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পরে অপরাধের নমুনা ধ্বংস করতে সকল ভাঙা আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে যান তারা। এ সময় আসামিরা জেলা শহরের শাহাদাত হোসেন সরকারের দোকান, জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার ও সহসভাপতি সেলিম ফারুকের বাড়ি, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামীম শাহ আলম তমু এবং জেলা বিএনপির সদস্য শহীদ জাহাঙ্গীর আলম স্বপনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখনও আদালতের কোনো আদেশ আমার কাছে এসে পৌঁছেনি।

শরিফুল ইসলাম/এএমকে