সদ্য সাবেক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা এবং তার স্ত্রী সাম্মীয়ারা পারভীনের বিরুদ্ধে সুখিলা ওরফে আফরিন (১৩) নামের এক গৃহকর্মীকে গুম করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকমাস ধরে তার কোনো সঠিক খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। 

গৃহকর্মী সুখিলাকে গুম বা হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পরিবারের। সুখিলা কুষ্টিয়া সদরের জিকে ঘাট এলাকার হৃদয়ের মেয়ে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) তার বাবা হৃদয় কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক দেড় বছর পূর্বে সুখিলা নামের ওই মেয়েকে বিবাদীরা ৫ হাজার টাকা বেতন ধার্য করে তাদের বাসায় শিশু বাচ্চাকে দেখভাল করার জন্য রাখে। কিন্তু তাদের বাসায় নেওয়ার পর ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া তার নাম পরিবর্তন করে আফরিন রাখে। ভুক্তভোগী কিশোরীকে মাঝে মাঝেই শারীরিক নির্যাতন করা হতো। এসব তাদের ঢাকার বাসায় গিয়ে নিজ চোখে দেখেলেও বিবাদীরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে প্রতিবাদ বা কোন আইনী পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। শারীরিক নির্যাতন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেই তারা কিশোরীর বাবা-মাকে জানে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিতেন। এছাড়া কয়েক মাস পূর্বে কিশোরীর পরিবারকে কোনো কিছু না জানিয়ে তাদের ঢাকার বাসায় নিয়ে যায়। 

গত ৫ থেকে ৬ মাস ধরে ওই কিশোরীর কোনো খোঁজ খবর নেই জানিয়ে মডেল থানায় এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্ট আনুমানিক দুপুর ১২টা থেকে উক্ত বিবাদীরা আমার মেয়েকে নিয়ে কোথায় অবস্থান করছেন আমি কোন খোঁজ পাচ্ছি না। আমরা ধারণা করছি তাদের বাসায় কাজ করা কালীন আমার মেয়ে তাদের এমন কোনো অপকর্ম দেখে ফেলে অথবা জেনে যায় যে কারণে তাকে গুম করে ফেলেছে অথবা আমার মেয়েকে হত্যা করে আমাদের সাথে টালবাহানা করছে। 

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত এই দম্পতি দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতির মামলাসহ কুষ্টিয়া মডেল থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা ও তার স্ত্রী সাম্মীয়ারা পারভীনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের মাহফুজুল হক চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

রাজু আহমেদ/আরকে