মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাসপাতালে ঢুকেও হামলা করা হয়
বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রতিপক্ষেৃর হামলায় প্রান্ত দাস (৩৭) নামে বিআরডিবি কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। প্রথম দফায় হামলার পর হাসপাতালে ঢুকেও হামলা চালানো হয়।
প্রথমে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে চিতলমারী উপজেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি ওষুধের দোকানের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেও হামলা করা হয় প্রান্ত দাসের ওপর।
বিজ্ঞাপন
আহত প্রান্ত দাস চিতলমারী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত দেবেন্দ্রনাথ দাসের ছেলে ও পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা।
প্রান্তর বোন স্নিগ্ধা দাস বলেন, হামলাকারীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর ফেলে আমার ভাইকে মারধর করছে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পুলিশ চলে গেলে রাতেই প্রভাবশালী ফারুক মুন্সির নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন হাসপাতালে প্রবেশ করে হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা প্রথমে জরুরি বিভাগের গেট বন্ধ করে দেয় এবং আমার ভাইকে মারধর করতে থাকে। আমি এবং মা এগিয়ে এলে, আমাদেরকেও মারধর করে। মারপিটের পর হাসপাতালের মেঝেতে ফেলে বুকের উপর লাথি মারতে থাকে। আমরা হামলাকারীর বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে ফারুক মুন্সি বলেন, ‘প্রান্ত দাস ও তার ভাড়াটিয়া লোকজন আমার স্ত্রীর ক্রয়কৃত জায়গার ঘর ভাংচুর করে। এ নিয়ে সমস্যা ছিল। তবে প্রান্তকে আমরা মারিনি।
আরও পড়ুন
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) চিকিৎসক মো. সুমন তালুকদার বলেন, জরুরি বিভাগে মুক্তা খান নামে এক রোগীর চিকিৎসা করছিলাম। এ সময় ওই তিন রোগী এলে তাদের ওপরে হামলা করা হয়। পুলিশে ফোন দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে। প্রশাসন চাইলে দেওয়া যাবে।
চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার রায় বলেন, রাতে খবর পেয়ে প্রথমে প্রান্ত দাসদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আবার হাসপাতালে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ফের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আহতরা লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেখ আবু তালেব/এনএফ