কেজিপ্রতি ২৫-৩০ টাকা সাশ্রয়ে খুশি ক্রেতারা
ফেনীতে স্বেচ্ছাসেবকদের ‘বিনা লাভের বাজার’
ফেনীতে সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় উদ্ধার-ত্রাণ বিতরণ ও সরকার পতন পরবর্তী নানা কার্যক্রমের পর এবার ‘বিনা লাভের বাজার’ পরিচালনা করছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবার। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রমের শুরু হয়।
জানা গেছে, সাশ্রয়ী দামে সাধারণ মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য সরবরাহের উদ্দেশ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবার প্ল্যাটফর্ম থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার এ বাজারের কার্যক্রম চলমান থাকবে। পুরো আয়োজনে স্বেচ্ছাশ্রমে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। মুনাফা ছাড়া এ বাজারে প্রথম দিনে চাল, ডাল, মটর, তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজসহ আরও পাঁচ ধরনের সবজি ছিল।
বিজ্ঞাপন
বাজার নিতে আসা আবদুল হাই নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এমন উদ্যোগ অনেক উপকারী। এখানকার একই পণ্য পাশের বাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছে। এ দুর্যোগকালীন মুহূর্তে এটিও আমাদের জন্য অনেক বড় কিছু।
আরও পড়ুন
সাজেদা আক্তার নামে আরেকজন বলেন, এখানে এসে ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য অনুমান করতে পেরেছি। আমরা তাদের কাছে অসহায়। প্রতিটি পণ্যদ্রব্য বাজার থেকে কম দামে কিনতে পেরেছি। এটি যদিও দীর্ঘস্থায়ী হবে না, তারপরও পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বাজার নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়ানো উচিত।
এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবক নিষাদ আদনান বলেন, তীব্র রোদ উপেক্ষা করে কাজ করে বিনা লাভের বাজারের মাধ্যমে মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা পেয়েছি। এটি অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হলেও অত্যন্ত সুশৃঙ্খল পরিবেশে আমাদের বাজার কার্যক্রমের প্রথম দিন কেটেছে।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বন্যায় উদ্ধার, ত্রাণ কার্যক্রমের পর আমাদের সামনে পুনর্বাসনের মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পুনর্বাসন নিয়ে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছি। মাঝের সময়টি বিনা লাভের বাজার চালু করে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে সুবিধাভোগীর আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
ওসমান গনি রাসেল নামে আরেক স্বেচ্ছাসেবক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনে শুধু যাতায়াত ভাড়া যোগ করে আমরা বিক্রি করছি। আমাদের মূল লক্ষ্য বাজারের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙার বার্তা দেওয়া। এখানে স্বেচ্ছাশ্রমে সবাই কাজ করছে। বাজারে যে সবজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে সেগুলো আমরা ৩০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি করেছি। বিনা লাভের এ বাজার থেকে একটি পণ্য সর্বোচ্চ এক কেজি করে কেনার সুযোগ রয়েছে।
তারেক চৌধুরী/এসএসএইচ