আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে নাটোরে বিভিন্ন ধরনের ৯৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার মধ্যে সেসব অস্ত্র নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নাটোর জেলার সাতটি থানায় ৮৯টি অস্ত্র জমা হয়েছে। জমা দেওয়ার বাইরে আছে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র। বিধি মোতাবেক এখন সেগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। সেগুলো উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালানো হবে। জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, জমা না দেওয়া ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকেরা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগ নেতা। এর মধ্যে নাটোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নামে লাইসেন্স করা দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র, সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের দুইটি, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসের একটি ও ঠিকাদার আশফাকুল ইসলামের নামে লাইসেন্সকৃত একটি আগ্নেয়াস্ত্র এখনো জমা পড়েনি। এর ভেতর আশফাকুল ইসলামের নামে লাইসেন্স করা অপর একটি পিস্তল গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের স্টেশন কারবালা মোড় থেকে ১১ রাউন্ড গুলিসহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।

নাটোরের পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রাত ১২টার আগে ৮৯টি লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা হয়েছে বিভিন্ন থানায়। এখন পর্যন্ত ছয়টি লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা পড়েনি। এর ভেতর জুনাইদ আহমেদ পলকের দুইটি ও শফিকুল ইসলাম শিমুলের দুইটিসহ মোট ছয়টি অস্ত্র।

নাটোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. মাছুদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনার জন্য সভা করা হয়েছে। অভিযানে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যরা থাকবেন। জেলার লাইসেন্স করা অধিকাংশ অস্ত্রই থানায় জমা পড়েছে। যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি সেগুলোর উদ্ধারে যৌথ বাহিনী মাঠে কাজ করবে।

গোলাম রাব্বানী/এমজেইউ