জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) ফাহাদ আহমেদ (২১) নামের এক শিক্ষার্থী র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

র‍্যাগিংয়ের শিকার ফাহাদ আহমেদ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

আহত শিক্ষার্থী ফাহাদ আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমাকে মির্জা আজম হলের ডাইনিং রুমে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমার ডিপার্টমেন্টের চতুর্থ বর্ষের সৈকত, রিয়াজ, অপি, আদর, মারুফ, বেলায়েত, আল আমিন, ইকরামসহ আরও কয়েকজন বড় ভাই বিভিন্ন ধরনের কথা বলে মানসিকভাবে টর্চার করে। আমি সেখান থেকে রাত ১টার দিকে ক্ষমা চেয়ে চলে আসি। এরপর রাত ৩টার দিকে তারা আবারও হলের গেস্ট রুমে আমাকে ডেকে নিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। আমি তাদের সম্মান করি না ইত্যাদি কারণে আমাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হবে, সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে, অভিভাবকদের ডেকে তাদের সামনে অপমান করা হবে, জুনিয়রদের সামনে অপমান করা হবে, আমার বিরুদ্ধে  মামলা দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন তারা। আমার গায়ে হাত না তুললেও আমাকে ব্যাপক মানসিক নির্যাতন করেন। এরপর কি হয়েছে আমি আর কিছু বলতে পারি না। চোখ খুলে দেখি হাসপাতালে শুয়ে আছি।

অভিযোগের জানতে চাইলে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আদর বলেন, আমাদের হলের অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করি। সেখানে ফাহাদ আহমেদ মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পরে আমরা ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি।

জুলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও মির্জা আজম হলের হাউজ টিউটর নাজমুল হক বলেন, আহত হয়ে একজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা সবাই মিলে এই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। আর র‍্যাগিংয়ের শিকার হলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সহকারী প্রক্টর আব্দুস সাত্তার বলেন, খবর পেয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে আহত ফাহাদ আহমেদের খোঁজ নিয়েছি। আমাদের ভিসি থেকে শুরু করে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা নেই। তাই আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি তারা বসে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এমজেইউ