মৃত সফিকুল ইসলাম

দুই বছর আগে মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জামালপুর শহরের পালপাড়া এলাকার মৃত নুরুল মেম্বারের ছেলে সফিকুল ইসলাম (৫০)। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও মারধরের ঘটনায় জামালপুরের সদর থানার একটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। সফিকুল ইসলাম পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন।

গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জামালপুর সদর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী পৌর শহরের ফুলবাড়িয়া দড়িপাড়ার মো. সুরুজ আলীর ছেলে হায়দার আলী।

জামালপুরের সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহমেদসহ ৮৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১৬০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মৃত সফিকুল ইসলামের নাম ৭৮ নম্বরে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর বিকেলে হায়দার আলী নামে ওই ব্যক্তি জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র, বাঁশের লাঠি নিয়ে তার সঙ্গে থাকা তরিকুলের ওপর আক্রমণ করে জখম করে এবং ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় তার ১২৫ সিসির একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তাতে আগুনে দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে থাকা তরিকুলের পকেট থেকে নগদ ৩৮ হাজার টাকা এবং গলায় থাকা ১৪ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করা হয় এবং খুন করার হুমকি দেয়। 

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মৃত সফিকুল ইসলামের ছোট ভাই রফিকুল জানান, তার বড় ভাই সফিকুল ইসলাম ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি অনেক আগে পৌর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন। পরে রাজনীতি করেননি, ব্যবসা করতেন। সফিকুলের একটি মেয়ে রয়েছে। তাকে নিয়ে তার স্ত্রী বাড়িতেই থাকেন। 

সফিকুল ইসলামের পরবারের পক্ষ থেকে দেওয়া মৃত্যু সনদপত্র অনুযায়ী সফিকুলের মৃত্যুর তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২। পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর কারণ ক্যানসার উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী হায়দার আলী বলেন, কারো সঙ্গে আমার বিরোধ নেই। তারা আমার গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি সেখানে জিম্মি ছিলাম। আর মামলার এজাহারে যা লেখা আছে তাই আমার বক্তব্য।

জামালপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, গতকাল হায়দার আলী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় মৃত মানুষের নাম থাকলে অধিকতর তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরএআর