মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর (৪০) বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মনকান্দা গ্রামের বাসিন্দা  রাশেদুজ্জামান ওরফে তাসকিন রাজু (২৬) মামলাটি করেছেন। আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।

এ মামলায় নিক্সন চৌধুরীসহ ১১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- ফরিদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন (৫০), ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. কাওছার ভূঁইয়া (৫৫), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান (৫৫), ভাঙ্গা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান (৪৫), ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিরন হাওলাদার (৫৫), সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান (৫৫), সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোবাহান মুন্সী (৫০) প্রমুখ। এ মামলায় নিক্সন চৌধুরী ও সাহাদাতকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায়, মামলা দিয়ে হয়রানি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রদের বাড়িতে গিয়ে তাদের হত্যা ও গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। গত ৩ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে বাদী নিজেসহ ভাঙ্গা কে এম এম কলেজ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভাঙ্গা কৈডুবি সদরদী এলাকায় রেলওয়ে সড়ক ক্রসিং সংলগ্ন পাকা রাস্তায় আন্দোলন করার সময় আসামিরা বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের আন্দোলন থামাতে বলে। তারা রাজি না হওয়ায় সাহাদাতের নির্দেশে আসামিরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় আন্দোলনকারীরা প্রাণ রক্ষায় পালিয়ে যায়।

মামলার বাদী বলেন, আসামিরা অত্যন্ত দাঙ্গাবাজ ও নির্যাতনকারী প্রকৃতির লোক হওয়ায় আমি ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে আন্দোলন করার সাহস পাইনি। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়সহ বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা জানে এবং প্রমাণ করবে।

মামলার বিষয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে আজ বুধবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

জহির হোসেন/এমজেইউ