নিহত বেলাল উদ্দিন

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বেলাল উদ্দিন (৪৫) নামের এক যুবদল সভাপতিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কাদেরিয়া মৎস্য ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে সোহেল ও জুয়েল নামের দুই ভাইকে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।

নিহত বেলাল উদ্দিন জাহাজমারা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ববিরবিরি গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে ও একই ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিলেন।

নিহতের চাচা আফছার উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার কাদেরিয়া ঘাট এলাকায় দুপুরে একটি দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে অতর্কিত হামলার শিকার হন বেলাল। হামলাকারী সোহেল ও জুয়েল অন্য একটি মোটরসাইকেলে করে এসে পেছন থেকে বেলালের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় বেলাল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। হামলার পর তাকে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। হাসপাতালে আনার পর দায়িত্বরত চিকিৎসা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আফছার উদ্দিন আরও বলেন, সোহেল ও জুয়েল একই এলাকার আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। তারা জেলা পরিষদের সাবেক মেম্বার বাসার ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিলাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য। হামলার সময় তাদের সঙ্গে আরও ১২ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী ছিল।

নোয়াখালী জেলা বিএনপির সহ সংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুল্লাহহিল মজিদ নিশান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমন নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা খুবই মর্মাহত হয়েছি। সোহেল ও জুয়েল নামের প্রধান অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আশাকরি তাদের হুকুমদাতা ও নির্দেশদাতা অচিরেই আইনের আওতায় চলে আসবে।

হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিসান আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত বেলাল উদ্দিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় সম্পৃক্তার অভিযোগে সোহেল ও জুয়েলকে আটক করে মারধর করে স্থানীয়রা। তারপর পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তারা পুলিশে হেফাজতে আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে।

হাসিব আল আমিন/আরকে