মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাসের (১৬) মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর সীমান্তের বর্ডার দিয়ে মরদেহ ফেরত দেয়। মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় উপস্থিত ছিল বিএসএফ, বিজিবি, ভারতীয় পুলিশ ও কুলাউড়া থানা পুলিশ।

নিহত স্বর্ণা জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। স্বর্ণা স্থানীয় নিরোধ বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল।

স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস বলেন, চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে আমার মেয়ের মরদেহ ভারতের পুলিশ হস্তান্তর করে। পরে কুলাউড়া থানার পুলিশ আমাদেরকে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন থেকে ভারতের ত্রিপুরায় তার বড় ছেলে থাকেন। তাকে দেখতে স্বর্ণা ও তার মা রোববার রাতে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় লালারচক সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। রাত ৯টার দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে স্বর্ণা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান স্বর্ণার মা।

কুলাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষন রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ মঙ্গলবার বিকেলে চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে স্বর্ণার মরদেহ হস্তান্তর করে। পরে স্বর্ণার পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এমজেইউ