দেশে আর কোনো স্বৈরাচারীকে মেনে নেওয়া হবে না : রফিকুল ইসলাম
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার বার বার দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করেছে। এই আওয়ামী লীগ ৭১- এর পর স্বাধীন বাংলাদেশে বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন ও শোষণের নীতি অবলম্বন করেছিল। আর খুনি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা গোটা দেশকে স্বৈরাচারী কায়দায় জিম্মি ও অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। ১৫ বছর আওয়ামী লীগ খুন, গুম, মামলা-হামলায় মেতেছিল। দেশে ন্যায়বিচার বলতে কিছুই ছিল না। বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এমতাবস্থায় ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচারীকে মেনে নেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (৩) দুপুরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা জামায়াতের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও বাসযোগ্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সবাইকে ঐক্যবন্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ সময় ইনসাফভিত্তিক, একটি বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকদেরকে জামায়াতের হাতকে শক্তিশালী করার উদাত্ত আহ্বান জানাই।
এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের এনায়েতপুর থানা আমির ডা. মো. সেলিম রেজা। এনায়েতপুর থানা সেক্রেটারি ডা. মোফাজ্জল হোসাইনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা শাহীনুর আলম।
সভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরার সদস্য ও জেলা নায়েবে আমির মো. আলী আলম, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সালাম, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলা আমির আরিফুল ইসলাম সোহেল, উল্লাপাড়া উপজেলা আমির মাওলানা শাহজাহান আলী, শাহজাদপুর উপজেলা আমির মাওলানা মিজানুর রহমান, চৌহালী উপজেলা আমির আবু সালেহ মোহাম্মদ আবু সাইদ, জামায়াত নেতা অধ্যাপক আব্দুল মজিদ, বেলকুচি উপজেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক নূর-উন-নবী সরকার, এনায়েতপুর থানা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফুর, জামায়াত নেতা আল-আমীন খন্দকার, জুবায়ের হোসেন, হাজী রফিকুল্লাহ খন্দকার, শ্রমিক নেতা ডা. আইয়ূব আলী ও থানা ছাত্রশিবির সভাপতি ফয়সাল খন্দকার প্রমুখ।
এর আগে রফিকুল ইসলাম খান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে এনায়েতপুরে নিহত শহীদ শিহাব, শহীদ সিয়াম ও শহীদ ইয়াহিয়ার বাড়িতে যান এবং পৃথক পৃথকভাবে শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি শহীদ পরিবারের সদস্যদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন এবং জামায়াতের পক্ষ হতে পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের অর্থ তুলে দেন। তিনি সকল শহীদ পরিবারকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান এবং শহীদদের এই আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন।
শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর