সঞ্জয় পাল

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপর হামলা-মামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার সঞ্জয় পাল (২৪) নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। এ ছাড়া নিহত আহসানুল ইসলাম দীপ্তর চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে টাকা দাবি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া গাইবান্ধা থানা হেফাজতের একটি ভিডিওতে সঞ্জয় পালকে এসব কথা বলতে শোনা যায়।

ভিডিওতে সঞ্জয় পালকে বলতে শোনা যায়, আমার বন্ধুর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়রা সাত হাজার টাকা দাবি করেছিল। আমার বন্ধুর অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তারা দেয়নি। আমরা গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে এবং যারা ঢামেকে (ঢাকা মেডিকেল কলেজ) নিয়ে গেছে তাদের থেকে এসব জানতে পেরেছি। এবং বন্ধু মৃত্যুর আগে যাদেরকে এসব কথা বলে গেছে তাদের থেকে শুনেছি। দুইজনের মোবাইল নম্বর আছে আপনারা জানতে পারবেন।

সঞ্জয় পালকে আরও বলতে শোনা যায়, এসব জানার পর আমার বন্ধুর চিকিৎসার রেকর্ড দেখতে গিয়েছি। কিন্তু গিয়ে দেখি পুরো ফাইল গায়েব। এরপর আমরা একজন ডাক্তারকে নিয়ে ব্রিগেডিয়ারের কাছে গেয়েছি। আমরা কোনো ভাঙচুর করিনি। ওইসময় কারা ভেঙেছে, আসলে কিছু জানি না। আমরা আমার বন্ধুর মৃত্যুর কারণ জানতে মেডিকেলে গিয়েছিলাম বলে ভিডিওতে শোনা যায়।

উল্লেখ্য, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় সোমবার ভোররাতে গাইবান্ধার বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে সঞ্জয় পালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সঞ্জয় পাল গাইবান্ধা শহরের মাস্টারপাড়া এলাকার রনজিত পালের ছেলে। তিনি ঢাকার বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল রোববার ছিল দিনভর উত্তেজনা। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার-বিচার, নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করাসহ চার দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ (কর্মবিরতি) পালন করেন দেশের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। চিকিৎসক ও রোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়। ঢাকা মেডিকেলের অফিস সহায়ক আমির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে গতকাল রাত পৌনে ৮টার দিকে কর্মবিরতি স্থগিত করে প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কাজে ফেরেন চিকিৎসকেরা।

রিপন আকন্দ/এমজেইউ