ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ির পানছড়ির তবলছড়ি সড়কের কয়েকটি স্থানে সড়কের পাশ ভেঙে গেছে। ভাঙা সড়কটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সড়কের ভেঙে যাওয়া স্থানগুলো দ্রুত সংস্কার না করলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে যানবাহন চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পরবে এ সড়কে যাতায়াত করা কয়েক হাজার মানুষ। যান চলাচল বন্ধ হলে ওই এলাকার নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পানছড়ি তবলছড়ি সড়কটির উল্টাছড়ি কবরস্থান টিলার পর থেকে জিরানি খোলা পর্যন্ত চার কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত সাত-আট জায়গায় সড়কের পাশ ভেঙে গেছে। এর মধ্যে চারটি স্থান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। একটি স্থানে সড়কের দুই পাশের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। ভারী যানবাহন উঠলেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া আবারও বৃষ্টি হলে ধসে পড়তে পারে ভাঙা সড়কের অবশিষ্ট অংশ। 

এ সড়কে নিয়মিত যাতায়াত করা মোটরসাইকেলচালক মফিজুর রহমান বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলছে সড়কটির কয়েক স্থানে ভেঙে গেছে। এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি মেরামতের। বাকি অংশটুকু ভেঙে গেলে যেকোনো সময় সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। 

সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মুছা বলেন, বর্তমানে সড়কটি দিয়ে মোটরসাইকেল, সিএনজি চলাচল করছে। ঝুঁকি নিয়ে মাঝেমধ্যে চাঁদের গাড়ি যাতায়াত করছে। দ্রুত সংস্কার না করলে ঘটবে দুর্ঘটনা।

মরাটিলা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সড়কের যে স্থানগুলো ভেঙেছে, এগুলো কিছুদিন আগে ভাঙনরোধে কাজ করা হয়েছিল। কাজের মান সঠিক না হওয়ায় হয়তো ভেঙে গেছে। এ সড়ক দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী যাতায়াত করেন। এ ছাড়াও সড়কটি দিয়ে এলাকার উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের মালামাল পরিবহন করতে হয়। 

খাগড়াছড়ির এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, এলজিইডির পানছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী অসুস্থ থাকায় সড়ক ভেঙে যাওয়ার সংবাদ পাননি। এখন খোঁজখবর নিয়ে জানার চেষ্টা করবেন। প্রাথমিক অবস্থায় সড়কের ভেঙে যাওয়া স্থানগুলো মেরামত করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হবে। কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা নির্ণয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ছাড়াও জেলার সব উপজেলার সড়কগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত স্থান চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। 

মোহাম্মদ শাহজাহান/এএমকে