প্রচলিত ধারার পুনর্বাসন কর্মসূচি বর্জন করে মেধা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের মাধ্যমে পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বন্যার্তদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, বন্যাকবলিতদের সহযোগিতায় শুধু আমরাই কাজ করছি এমন নয়, সারা বিশ্ব এতে যুক্ত হচ্ছে। তাই আমরা অনন্য দৃষ্টান্ত রাখতে চাই, আগে আমাদের কাছে এ সুযোগ আসেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আর কোনো দোহাই দিতে পারবেন না, আপনাদের সামনে কোনো বাধা নেই। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা সবকিছু নিরঙ্কুশভাবেই করতে পারবেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশে আর অতীতের মতো কিছু করা যাবে না।  ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচি সমন্বয় কমিটি প্রতিনিয়ত মনিটরিং করবে। প্রতিটি খরচ মানুষের কাছে প্রকাশ্যে তুলে ধরা হবে। তাই ১০ টাকার জিনিস এখন আর ১০০ টাকা দিয়ে কেনা যাবে না।

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা আরও জানান, সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়কে নিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটি হবে। এই কমিটিতে যাদের প্রয়োজন হবে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

এর আগে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের প্রতিনিধিরা কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরেন। 

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সেনানিবাসের কর্নেল স্টাফ কর্নেল আব্দুল আজিজ, কুমিল্লা পুলিশ সুপার আশফিকুজ্জামান আক্তার, সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আক্তার, সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়করা।

আরিফ আজগর/আরকে