রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক রেলমন্ত্রীর ছেলে মিতুল হাকিম, সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বিশ্বাসসহ ৫৫ জন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭৫ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে দ্রুত বিচার আদালত ও পাংশা আমলি আদালতে।

রোববার( ১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলা তিনটি দায়ের হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলা তিনটি পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছেন।

মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদ উদ্দিন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা তিনটির বাদী হলেন, পাংশা উপজেলা গুদিবাড়ী গ্রামের মৃত আঃ করিম মোল্লার ছেলে মোঃ আজিজুল ইসলাম রাজা (৬৫), পাংশার মাগুরাডাঙ্গী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন খন্দকার (৪০) ও পাংশা পৌরসভার মাগুরাডাঙ্গী গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ খানের ছেলে মাসুদ রানা জনি (৩৬)।

জানা গেছে, গুধিবাড়ী গ্রামের আঃ করিম মোল্লার ছেলে আজিজুল ইসলাম রাজা বাদী হয়ে ৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন, পাংশা পৌরসভার মাগুরাডাঙ্গী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন খন্দকার বাদী হয়ে সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের ছেলে মিতুল হাকিমসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন ও একই গ্রামের আব্দুল আজিজ খানের ছেলে মাসুদ রানা জনি বাদী হয়ে ১৭ জনসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী সুমন খন্দকার বলেন, মিতুল হাকিমের নেতৃত্বে ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর ১০ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবি করে আসামিরা। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ২৭ ডিসেম্বর তার বসতবাড়িতে প্রবেশ করে ককটেল ফাটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে উল্লেখিত আসামিরা। তারা মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা দাবি করে। প্রাণ ভয়ে তাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। আরো ৫ লক্ষ টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে তারা।

বাদী মাসুদ রানা জনি বলেন, ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর পাংশার সাবেক মেয়র আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসামিরা। ২ লক্ষ টাকা প্রদান করলেও বাকি ৩ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় ২৮ ডিসেম্বর বসতবাড়ি ভাঙচুর করে তারা।

অপর মামলার বাদী আজিজুল ইসলাম রাজা বলেন, ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল পাংশার সাবেক মেয়র আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করলেও বাকি ৫ লক্ষ টাকার জন্য ৪ এপ্রিল মুদি দোকানসহ বিল্ডিং ভেঙে লুটপাট করে নেয় আসামিরা। 

রাজবাড়ী আদালতের অ্যাড.জাহিদ উদ্দিন মোল্লা বলেন, মাসুদ রানা জনির মামলাটি ওসি ডিবি, আজিজুল ইসলামের মামলাটি ওসি পাংশা ও সুমন খন্দকারের মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এনএফ