তিন দিন চিকিৎসাধীন থেকে মারা গেলেন গেলেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা। তিনি প্রতিপক্ষ বিএনপির ছুরিকাঘাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত ৯টায় ওই ইউনিয়নের চরএলাহী বাজারে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

আবদুল মতিন তোতা চরএলাহী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

আবদুল মতিন তোতার ছেলে ইমাম উদ্দিন সবুজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টায় আমার বাবা আবদুল মতিন তোতাকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত করেন বিএনপির প্রতিপক্ষরা। কুপিয়ে মগজ বের করে ফেলে। আজ বাবা মারা গেছেন। আমি অপরাধীদের শাস্তি চাই।

আবদুল মতিন তোতার আরেক ছেলে ইব্রাহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, চরএলাহী ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসমাইল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ, ডা. ফরিদসহ আরও কয়েকজন লোকের পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার বাবার ওপর হামলা চালায়।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক বিএনপি সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, আবদুল মতিন তোতা এবং তার ছেলেরা চরএলাহী ইউনিয়নে বিএনপি না করে দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে লুটপাট, দখল ও রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাতে আমাদের ত্রাণ বিতরণের প্রচারণায় তিনি ও তার ছেলেরা হামলা করে আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করে।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রনব চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি। সেদিন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়েছিল। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে আবদুল মতিন তোতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান। তিনি বলেন, আবদুল মতিন তোতা বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। মিথ্যা মামলায় অনেকবার কারাবন্দি ছিলেন। স্বৈরাচার মুক্ত এই সময়ে সন্ত্রাসীদের নির্মম হামলায় তোতা চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

মো. শাহজাহান মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এই পরিবারের প্রতি আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত সচেতন।

হাসিব আল আমিন/এমজেইউ