বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ১৫ বছর ৭ মাস এই জাতি ছিল গণতন্ত্রহীন, আইনের শাসনের বাইরে। বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের আমলে দেশের মানুষ দল-মত নির্বিশেষে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। 

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে নরসিংদীর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক দায়িত্বশীলদের নিয়ে প্রীতি সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, এই দেশের মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে গুম হতে হয়েছে, খুন হতে হয়েছে, ক্রসফায়ারের মুখোমুখি হতে হয়েছে অথবা কারাগারে বন্দি হতে হয়েছে। এইসবের প্রেক্ষিতে শুরু থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিল। কিন্তু কোনো আন্দোলন যৌক্তিক পরিণতি লাভ করতে পারেনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বহু মানুষের জীবন ও রক্তের মাধ্যমে একটি যৌক্তিক পরিণতি লাভ করেছে। দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসনের পতন হয়েছে। এই দেশের মানুষ আবার নতুন করে  স্বাধীনতা লাভ করেছে। 

তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের কোনো জোট নেই, তবে তাদের সঙ্গে  আমাদের সম্পর্ক ভালো আছে। বিএনপির সঙ্গে আমরা মাঝে মধ্যেই বসতেছি। তাদের সঙ্গে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনা অব্যাহত আছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি পট পরিবর্তনের সময় বাড়িঘর, মন্দিরে হামলা করে একটি মহল অন্য আরেকটি বিশেষ দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র সবসময় হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল এইসব ভাঙচুর করে আরেকটি দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্ঠা করে। এবার সরকারের পতনের ফলে আমিরের নির্দেশে অমুসলিমদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও মন্দির পাহারা দেওয়া হয়েছে। এমনকি থানাও আমরা পাহারা দিয়েছি। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশে নিহত ও আহতদের সাহায্য করা হচ্ছে।

নরসিংদী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মাওলানা মুছলেহদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি অ্যাড. এহসানুল মাহাবুব জুবায়ের, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আমির আব্দুল জব্বার, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক মকবুল হোসেন, জামায়াতের সদর থানার আমীর মাহফুজ ভূঁইয়া, জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলামসহ প্রমুখ।

তন্ময় সাহা/এএমকে