বরগুনার আমতলী উপজেলায় চাঁদা দাবির অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধাসহ (৪০) পাঁচজনের নামে মামলা করা হয়েছে। উপজেলার চলাভাঙ্গা নামক এলাকার আব্দুস ছত্তার মৃধার ছেলে হুমায়ুন কবির মিল্টন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে আমতলী উপজেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করা হয়। পরে আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানায় এফআইআর নেওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন- আমতলী সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিমু আকন (৫৫), উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল আকন (৩৫), উপজেলা যুবদলের ১ নম্বর সদস্য সামসু চৌকিদার (৩৮) ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান রাকিব (৩৫)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আমতলী খুরিয়ার খেয়াঘাট নামক এলাকায় মামলার বাদী হুমায়ুন কবির মিল্টনের একটি মুদি মনোহরি দোকান আছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালের দিকে ধারালো অস্ত্র দা, রামদা ও লাঠি নিয়ে আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধার নেতৃত্বে ১৫-২৫টি মটরসাইকেলে করে কিছু লোক ওই দোকানের সামনে আসেন। এ সময় মিল্টনের কাছে তারা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে ব্যবসায়ী মিল্টনের দাবি করা চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে অভিযুক্ত আসামিরা তাকে ব্যাপক মারধর করেন। এ সময় মিল্টনের দোকান ভাঙচুর করাসহ দোকানে থাকা ৩ লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। এছাড়াও হামলাকারীরা দোকানে থাকা ক্যাশ বাক্স ভেঙে নগদ ২ লাখ টাকাও নিয়ে যায় বলে উল্লেখ করা হয়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্টের পর থেকেই অভিযুক্ত আসামিরা এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদা দাবি করছেন। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে মানুষের দোকান পাঠ লুট করাসহ বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জমি জমা জোরপূর্বক দখল করার কাজও করেছেন তারা।

মামলার বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা বলেন, আমি চাঁদা দাবি, দোকানঘর ভাঙচুর, মালামাল লুট বা নগদ টাকা লুটের মতো কিছুই করিনি। বহিষ্কার হওয়া সাবেক সভাপতি জালাল ফকিরের নেতৃত্বেই খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি চলছিল। তার প্রতিবাদ করায় আমার বড় ভাইসহ আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চলানো হয়েছে। আমরা কারো ওপর হামলা করিনি। আমাকে হয়রানি করার জন্য এ মামলা করা হয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. আমির হোসেন বলেন, আদালতের কোনো আদেশ আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। আদেশ পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. আব্দুল আলীম/এফআরএস