জামালপুরে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, একদিকে আমাদের ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন। তাদের পাশে আমরা দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। অন্যদিকে ভারত হঠাৎ করে গেটগুলো খুলে দেওয়ার কারণে বন্যার পানিতে লাখ লাখ মানুষ কষ্ট করছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র, তাদের আমরা বলতে চাই, আমরা পাশাপাশি প্রতিবেশী সুলভ বসবাস করতে চাই, আমরা বিমাতা সুলভ কোনো আচরণ চাই না। ইনসাফের ভিত্তিতে, ন্যায়ের ভিত্তিতে বসবাস করতে চাই। জুলম, অত্যাচার করলে পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষী অনেক বড় বড় দেশও ভেঙে খান খান হয়ে গেছে, ভারতও ভেঙে খান খান হয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবু মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, যারা বাংলাদেশকে নিয়ে খেলতে চেয়েছিল আল্লাহ তাদের খেলা বন্ধ করে দিয়েছেন। শুধু জনসাধারণ নয় তারা দেশের বিচারকদেরকেও গোলামে পরিণত করেছিল। মানুষের সর্বশেষ আশ্রয় বিচার ব্যবস্থা সেটিকেও তারা ধ্বংস করে দিয়েছিল। পুলিশ প্রশাসন ও কর্মকর্তাদের চূড়ান্ত গোলামে পরিণত করা হয়েছিল।

জামালপুর জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মাওলানা মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক ড. ছামিউল হক ফারুকী।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জামালপুর জেলার শহীদ ১৩ জনের পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়।  

জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল আওয়ালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সিনিয়র সহ-সেক্রেটারি নুরুল হক জামালী, সহ-সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সালমান প্রমুখ। শহীদদের পরিবারের পক্ষ থেকে কথা বলেন আক্তারুজ্জামান ও বিল্লাল হোসেন। পরে আন্দোলনে শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

আরএআর