ইনসেটে ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান

ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের দাপুনিয়া কাঁচাবাজার এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- বিএনপি নেতা মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, রুহুল আমিন, মিনহাজ, দুলাল মিয়া, আতিক, হেলাল, ওবায়েদ, এমদাদ মেম্বারসহ আরও অনেকে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান বলেন, শুনেছি আজ সকালে বিএনপির একটি পক্ষ আমার পদত্যাগ দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পরিষদে গিয়ে তালা দিতে চেয়েছিল। এ সময় স্থানীয় বিএনপির অপর একটি পক্ষ তাদের বিরোধিতা করলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।  তবে তখন আমি পরিষদে ছিলাম না।

তিনি আরও বলেন, মূলত বিএনপির একটি পক্ষ চায় আমি পরিষদে থাকি কিন্তু অপর একটি পক্ষ আমার পদত্যাগ চায়। এই নিয়ে তাদের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে। এতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে আমাদের লোকজন আওয়ামী লীগ দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের পদত্যাগ চেয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে আতাঁত করে গতকাল মঙ্গলবার ইউপি চেয়ারম্যানকে অফিসে বসিয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী পরিষদে তালা দিতে গেলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমন্বয়ে গঠিত ওই পক্ষটি হামলা করে। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।

তবে এই অভিযোগ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও অপর পক্ষের কারও বক্তব্য জানা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিনের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এমজেইউ