নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানার আগুন পুরোপুরি নেভানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে ভবনটিতে এখনও উত্তাপ থাকায় পানি ছিটাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। এছাড়া ভবনের নিরাপত্তার ছাড়পত্র ছাড়া ভেতরে ঢুকে অনুসন্ধানে অভিযান শুরু করা যাচ্ছে না।

এদিকে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিতে ঢোকার আগে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (জোন-২) উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মন্নান। তিনি বলেন, ভবনের নিরাপত্তার ছাড়পত্র ছাড়া উদ্ধার অভিযান শুরু করা যাচ্ছে না। গতকাল (মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট) সকালে আগুন নেভানোর পর শুরুতে আমরা ভবনটির সিঁড়ি দিয়ে চারতলা পর্যন্ত উঠতে পেরেছিলাম। সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে যতদূর দেখা যায় ততদূর কোনো ভিকটিমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

এছাড়া ৪৮ ঘণ্টা ধরে জ্বলতে থাকা আগুনে ভবনটি পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে কিছুক্ষণ পরপর ভবনটির সাইডের দেয়ালগুলো ভেঙে পড়ছে। এ জন্য ফায়ার সার্ভিস ভবনটির আশপাশ থেকে সবাইকে সরিয়ে দিচ্ছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, আগুনের তাপে ভবনটির বিভিন্ন অংশ খসে পড়ছে। ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তারা আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হলে আমরা পর্যবেক্ষণ করব। ভবনটিতে প্রবেশ করে উদ্ধার অভিযান চালানো যায় কিনা সে ব্যাপারে তখন পরামর্শ দেব।

এদিকে ভবনে অনুসন্ধান চালাতে না পারায় নিখোঁজদের বিষয়ে চূড়ান্ত তথ্য দিতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন একটি তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে জানালেও নিখোঁজদের কোনো সংখ্যা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা হয়নি। ফলে নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনদের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। ঘটনার চতুর্থ দিন বুধবার সকালেও কারখানার সামনে ও আশপাশের এলাকা থেকে নিখোঁজদের স্বজনদের সেখানে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

এফআরএস