মারামারি-লুটপাটের পর আগুন দেওয়া হয় গাজী টায়ার কারখানায়
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপসি স্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে অবস্থিত গাজী গ্রুপের টায়ার প্রস্তুতকারী কারখানা ‘গাজী টায়ারর্স’৷ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সেখানে লোক জড়ো করে লুটপাট এবং দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির পর কারখানাটিতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
কারখানাটির মালিক সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী৷ রোববার (২৫ আগস্ট) ভোরে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
বিজ্ঞাপন
এ খবর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকেই সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়৷ দুপুরের দিকে টায়ার প্রস্তুতকারী কারখানাটির অদূরে একটি মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করা হয়। এ ঘোষণার পর কয়েকশ মানুষ জড়ো হন কারখানাটির সামনে। দুপুর ৩টা থেকে শুরু হয় লুটপাট৷ এছাড়া লুটপাটের সময় কারখানাটিতে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ও কোপাকুপির মতো সংঘর্ষও হয়। দিনভর লুটপাটের পর রাত ৯টার দিকে কারখানাটির ভেতরের একটি ছয়তলা ভবনে আগুন দেন লুটপাটকারীদের একটি দল৷
আরও পড়ুন
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় বাসিন্দা, কারখানায় কর্মরত একজন কর্মী ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে৷
এর আগে ছাত্র জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ওই কারখানায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। এতে ওই কারখানার বেশিরভাগ স্থাপনা আগুনে পুড়ে যায়। এরপর গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই কারখানার ৬ তলা ভবনে লুটপাটের এক সময় আগুন দেন লুটপাটকারীদের একটি অংশ।
রোববার রাতে দেওয়া আগুন জ্বলেছে প্রায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। বর্তমানে আগুন নিভে গেলেও প্রচুর ধোঁয়া বের হচ্ছে ওই ভবন থেকে। এ ঘটনায় অন্তত ১৮৭ জন নিখোঁজ আছেন বলে দাবি করেছেন তাদের স্বজনরা৷
তবে, নিখোঁজদের কেউ কারখানাটির কর্মী নন। সবাই আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা৷ তারা লুটপাটের সময় ভবনটির ভেতরে ছিলেন, কিন্তু আগুন লাগার পর বের হতে পারেননি বলে দাবি স্থানীয়দের৷
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম (প্রশিক্ষণ) সোমবার (২৬ আগস্ট) সাংবাদিকদের জানান, এদিন সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে কারখানাটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷
এফআরএস