তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১১ বছরে তদন্ত পিছিয়েছে ৭০ বার। দুয়ারে, দুয়ারে ঘুরেও বিচার পাননি নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি। তৎকালীন সরকার প্রধানের ইশারায় এ ঘটনার বিচার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন ত্বকীর বাবা ও হত্যার বিচার দাবিতে যারা আন্দোলন করেছিলেন তারা। 

রফিউর রাব্বি বলেন, সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ওসমান পরিবারকে আমি দেখে রাখবো। এ পরিবারকে দেখাশোনার দায়িত্ব আমার। এরপর থেকেই এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত বন্ধ হয়ে আছে।

এর আগে, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নিখোঁজ হয় ত্বকী। দুইদিন পর ৮ মার্চ নদী থেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়। রফিউর রাব্বি বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর সেই মামলার তদন্ত শেষ করতে সময় চায় র‌্যাব। তখন থেকে এ পর্যন্ত র‌্যাবকে ৭০ বার সময় দিয়েছেন আদালত।

এ ঘটনার প্রায় এক বছর পর বিচার পাওয়ার কিছুটা আশার মুখ দেখেছিল ত্বকীর শোকাহত পরিবার। র‌্যাব-১১ তখন দাবি করেছিল যে, তারা হত্যার রহস্যভেদ করেছে। এর একটি খসড়া তদন্ত প্রতিবেদনও তৈরি করেছিল তারা। তাতে আজমেরী ওসমানসহ ১১ জনের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ থাকা একটি র‌্যাবের খসড়া তদন্ত প্রতিবেদন গণমাধ্যমে ফাঁস হয়। আর আজমেরী ওসমান হচ্ছেন জাতীয় পার্টির প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের ছেলে এবং সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ভাতিজা।

ত্বকীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর একদিন আগে, র‌্যাবের তৎকালীন অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান গণমাধ্যমে বলেছিলেন, তাদের কাছে ১১ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ আছে এবং এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র যেকোনো সময় আদালতে জমা দেওয়া হবে। তবে সেই সময়টি এখনও আর আসেনি।

ওই সময় র‌্যাবের কাছে থেকে ফাঁস হওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কিশোর ত্বকী হত্যাটি শুধু পরিকল্পনাই না, বরং আজমেরী ওসমান এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। তার নির্দেশে ২০১৩ সালের ৬ মার্চ অন্য সহযোগীরা ত্বকীকে অনুসরণ করেন। পরে তাকে অপহরণ করে শহরের আল্লামা ইকবাল রোডে আজমেরী ওসমানের উইনার ফ্যাশনের ‘টর্চার সেলে’ নিয়ে ত্বকীকে পিটিয়ে আহত এবং পরে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহটি বস্তায় ভরে আজমেরীর গাড়িতে করে চারারগোপ এলাকায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাত একটা থেকে দেড়টার মধ্যে ঘাতকরা নৌকায় করে মরদেহটি নিয়ে কুমুদিনী জোড়া খাল এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেন। এর পরদিন ৮ মার্চ নদী থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি জানান, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শায়েস্তা খান রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে স্থানীয় সুধীজন পাঠাগারে যাওয়ার পথে ত্বকী নিখোঁজ হয়। পরদিন তার ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। যেখানে দেখা যায়, সে পদার্থবিজ্ঞানে ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৯৭ পেয়েছিল, যা দেশের মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ।

তিনি আরও জানান, শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, আমি শামীম ওসমানের পরিবারকে দেখে রাখবো। সংগত কারণে একটা দেশের প্রধান যখন এ কথা বলেন, তখন তো সেই পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেওয়া কোনো সংস্থার পক্ষে সম্ভব না। তার এই বক্তব্যের পর থেকেই তদন্ত বন্ধ হয়ে আছে। তদন্ত থামানোর জন্য শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকীও র‌্যাবকে তদন্ত বন্ধের নিদের্শ দিয়েছেন বলে শুনেছি। তিনি শামীম ওসমানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এ তদন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ত্বকী হত্যার সেই বছরের ১৮ মার্চ শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, জেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জহিরুল ইসলাম পারভেজ ওরফে ক্যাঙারু পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজীব দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, সালেহ রহমান সীমান্ত ও রিফাত বিন ওসমানসহ অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে সম্পূরক অভিযোগ জমা দেন রফিউর রাব্বি। পরে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে ওই বছরের ২০ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করে।

র‌্যাব ২০১৩ সালের ৭ আগস্ট আজমেরী ওসমানের ‘উইনার ফ্যাশন’ অফিসে অভিযান চালিয়ে রক্তমাখা জিন্স, একটি পিস্তলের বাট এবং ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম পায়। ওই সময় র‌্যাব কর্মকর্তারা দেয়াল, সোফা ও আলমারিতে বেশ কিছু গুলির চিহ্নও দেখতে পান। ফাঁস হওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে ত্বকী হত্যাকাণ্ডে ১১ জন অভিযুক্তের প্রত্যেকেই এ হত্যায় ভূমিকা রাখার কথা উল্লেখ করা হয়।

আজমেরী ছাড়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন, ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ওরফে ভ্রমর, তায়েবউদ্দিন জ্যাকি, রাজীব, কালাম শিকদার, মামুন, অপু, কাজল, শিপন ও জামশেদ হোসেন।

অভিযুক্ত লিটন, ভ্রমর, জ্যাকি এবং সন্দেহভাজন হিসেবে রিফাত বিন ওসমান ও সালেহ রহমান সীমান্তকে র‌্যাব-১১ সদস্যরা গ্রেপ্তারও করে। তবে সবাই পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওই বছরের জুলাই এবং নভেম্বর মাসে যথাক্রমে লিটন এবং ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার পরিকল্পনা থেকে হত্যা পর্যন্ত সব ঘটনার বিবরণ দিয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জবানবন্দিতে তারা সেই বক্তব্য প্রত্যাহারেরও আবেদন জানিয়েছিলেন। ভ্রমর ও লিটনসহ এই মামলার সব আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়ে বর্তমানে পলাতক।

ত্বকীকে কেন হত্যা করা হলো?

নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন ত্বকীর বাবা। এর মধ্যে ত্বকী হত্যার আগ পর্যন্ত ৩টি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। এই আন্দোলনগুলোর প্রধান দায়িত্বে ছিলেন রফিউর রাব্বি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেন, আমার ছেলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।

তিনি বলেন, ত্বকী হত্যাকাণ্ডে র‌্যাব তদন্তে ৩টি কারণ উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- ২০১১ সালের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে শামীম ওসমান সেলিনা হায়াৎ আইভির কাছে ১ লাখ ৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়। সেই নির্বাচনে শামীম ওসমান ছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আর আইভি ছিল নাগরিক পরিষদের প্রার্থী। সেই নাগরিক পরিষদের মেম্বার সেক্রেটারি ছিলাম আমি। যার ফলে সেই সময় বিভিন্ন মিডিয়া আমাকে ফেস করতে হতো। এজন্য শামীম ওসমান আইভির সঙ্গে তার পরাজয়ের একটা কারণ মনে করে আমাকে। 

তিনি দ্বিতীয় কারণ হিসেবে বলেন, সেই বছরেই জুন মাসে বাস ভাড়া নিয়ে একটা আন্দোলন হয়েছিল নারায়ণগঞ্জে। হুট করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাস ভাড়া ২২ টাকা থেকে ৩২ টাকা করা হয়। ওই সময় পরিবহন সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতো ওসমান পরিবার। বন্ধন পরিবহনের মালিকরা র‌্যাব-১১ কে একটা চিঠি দিয়েছিল সেখানে তারা উল্লেখ করেছিল, প্রতি মাসে নাসিম ওসমানকে ও শামীম ওসমানকে কত টাকা চাঁদা দেয়। তো আমি তখন বলেছিলাম এই চাঁদাটা যদি বন্ধ করা যায় তাহলে ভাড়া বাড়ানোর তো প্রশ্নই ওঠে না বরং এই ভাড়াটা কমানো যায়। সুতরাং এই চাঁদা বন্ধ করতে হবে। পরে এটা হরতাল পর্যন্ত যায়, ডিসির সঙ্গে মিটিং হয়, বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, যেটা পরে সারাদেশের মানুষ দেখেছে। এটা নিয়ে কবরীর (নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য) সঙ্গে শামীম ওসমানের হাতাহাতির পর্যায়ে যায়। তিনি জুতা নিয়ে শামীম ওসমানকে মারতেও যায়। ওই ঘটনার পর ৩ দফা বাসের ভাড়া কমিয়ে ৩২ টাকা থেকে ২৭ টাকায় নামিয়ে আনে তারা। এই বাস ভাড়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে সে সময় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো সম্বিলিতভাবে জাতীয় অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম করে। সেই ফোরামের আহ্বায়ক করা হয় আমাকে (রফিউর রাব্বি) এবং সেই মুভমেন্টে নেতৃত্বে ছিলাম আমি। তারা মনে করছে যে তাদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও লাঞ্ছিত হওয়ার পেছনে আমি দায়ী। 

তৃতীয় কারণ হিসেবে রফিউর রাব্বি বলেন, ২০১২ সালে রেলওয়ের জায়গা দখল করে মার্কেট করছিল নাসিম ওসমান এবং আমরা তখন রেলের ভূমি দস্যুতার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে ঠিক একইভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো ভূমি রক্ষা নাগরিক পরিষদ গঠন করি। সেটারও কনভেইনর করা হয় আমাকে। সেই আন্দোলনও অনেক বড়সড় হয়েছিল। যখন জোর করে তারা মার্কেটটা করার জন্য উদ্যোগ নেয় তখন নারায়ণগঞ্জের প্রায় প্রচুর লোক এটার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। সে সময় পুলিশের সঙ্গে টিয়ারশেল ও গোলাগুলি পর্যন্ত হয়। সেই রক্তারক্তির অবস্থানের কারণে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মার্কেট নির্মাণটা বন্ধ ঘোষণা করে। এটা তাদের পরিবারের একটা বড় অর্থনৈতিক ক্ষতি বলে তারা মনে করে।

তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, র‌্যাব সদর দপ্তর দ্রুত তদন্ত শেষ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছে। আমরা র‌্যাব সদর দফতরের তদন্ত শাখার সঙ্গে সমন্বয় করে এখন মামলাটি তদন্ত করছি। আমরা আশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যে একটা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।

ওপর মহলের নির্দেশেই কি অভিযোগপত্র দাখিল করা হচ্ছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপর মহল থেকে আমাদের কোনো চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে না। তদন্তের শুরুতে অনেকগুলো নাম এবং ঘটনা এসেছিল। আমরা খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি, যাতে নির্দোষ কেউ অবিচারের সম্মুখীন না হন। একইভাবে কোনো দোষীও যেন ছাড়া না পায়। আমরা চেষ্টা করছি, যতটা নিরপেক্ষভাবে সম্ভব তদন্তটা করার জন্য।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিচারের দাবি জানিয়ে রাফিউর রাব্বি বলেন, তারা নির্দেশনার মধ্য দিয়ে এই বিচার কার্যটা যেন আবার শুরু করেন সে অনুরোধ করি।

ত্বকি মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন বলেন, ত্বকী নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা নারায়ণগঞ্জ সদর থানা, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন সদর থানার তৎকালীন ওসি মঞ্জুর কাদেরসহ কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ত্বকীর বাবা বা আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি। ২০১৩ সালের ৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর থানার ওসি ত্বকীর বাবা রাব্বীকে জানান, শীতলক্ষ্যার কুমুদীনি খালে একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। তিনি যেন এসে  সেটি দেখেন যে তা ত্বকীর কিনা। সেটিকে ত্বকীই মরদেহ হিসাবে শনাক্ত করেন তার বাবা। এরপর ১১ বছরেও ত্বকী হত্যার বিচার হয়নি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে ত্বকী হত্যার সঙ্গে ওসমান পরিবারের সম্পৃক্ততা।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমান পরিবারকে দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাই এ হত্যাকাণ্ডের সব কার্যক্রম থেমে যায়। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার এই ত্বকী হত্যার বিচার খুব দ্রুত সমাধান করবেন। আর এই ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জের আশিক, চঞ্চল, বুলু, মিঠুসহ আরও অজস্র হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। ত্বকীসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করাটা নারায়ণগঞ্জের মানুষের প্রাণের দাবি।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জের সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা বলেন, ত্বকী ছিল নারায়ণগঞ্জের মেধাবী সন্তান। ত্বকী হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত ছিল তা সবারই জানা। এ হত্যার সঙ্গে পুরো ওসমান পরিবার জড়িত ছিল। এতদিন স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে ত্বকী হত্যার বিচার কোনোভাবেই আগায়নি। চার্জশিটটা পর্যন্ত আমরা পাইনি। আমরা এখন স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে আছি। নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা নারায়ণগঞ্জের ছাত্ররা দাবি জানাই, ত্বকী হত্যার বিচারে আর কোনো বিলম্ব নয়। আমরা এখনই ত্বকী হত্যার বিচার চাই। এ হত্যার বিচারই হতে পারে নারায়ণগঞ্জের জনসাধারণের জন্য বড় একটা মাইলফলক।

এফআরএস/আরকে