অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে সিলেটের কানাইঘাট থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যতীত অবৈধভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার দায়ে তার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে কারারক্ষীদের নিরাপত্তায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মানিকের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সাবেক বিচারপতি মানিকের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. শিশির চক্রবর্ত্তী বলেন, তার শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। মারধরের কারণে একটি অণ্ডকোষ আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গুরুতর ছিল। পরে দ্রুত অস্ত্রোপচার করা হলে তার শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা উন্নতির পথে। বর্তমানে তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে সিলেটের কানাইঘাটের সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে পুলিশ। পরদিন শনিবার ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করে কানাইঘাট থানা পুলিশ। এদিন বিকেলে সিলেটের আদালতে তোলার সময় উত্তেজিত জনতা তাকে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করেন। এ সময় তার ওপর হামলা করাও হয়। পরে কোনোমতে তাকে আদালতের এজলাসে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক আলমগীর হোসেন তাকে জেলহাজতে আটক রাখার নির্দেশ দেন। এ সময় সাবেক বিচারপতি মানিক নিজেকে অসুস্থ দাবি করলে আদালত জেলকোড অনুসারে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর সেদিন রাতে সিলেট কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তার গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত অণ্ডকোষে জরুরি অস্ত্রোপচার শেষে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) একটি কেবিনে রাখা হয় তাকে। এরপর তার উন্নত চিকিৎসায় আট সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

এমএ