নিয়ন্ত্রণ চেষ্টায় ১২ ইউনিট, এখনও জ্বলছে গাজী টায়ার কারখানা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় অবস্থিত গাজী টায়ার কারখানার আগুন নেভাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

এর আগে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাগা কারখানাটিতে আগুন লাগে। এ সময় কারখানাটিতে থেমে থেমে বিস্ফোরণের ঘটনায় আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠতে দেখা গেছে।

জানা যায়, রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে স্থানীয়দের মাধ্যমে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। ঢাকা ফুলবাড়িয়া ফায়ার স্টেশন, ডেমরা, কাঁচপুর, আদমজী ইপিজেড ও কাঞ্চন ফায়ার স্টেশন থেকে একে একে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট। ভবনটির ভেতরে আটকা পড়ে আছে বলে কয়েকজন স্বজন দাবি করেছেন।

গাজী টায়ারের প্রকিউরমেন্ট সিনিয়র কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে জানান, গতকাল দুপুর ৩টায় আমি ফ্যাক্টরিতে কাজ করছিলাম তখন এক হাজারের মতো বহিরাগত লোক ফ্যাক্টরিতে ঢুকে পড়ে লুটপাট চালাতে থাকে। এই লুটপাট রাত ১০টা পর্যন্ত চলতে থাকে। এসময় ওই লুটপাটকারীরা ফ্যাক্টরিতে আগুন ধরে দেয়। ওই সময় প্রায় ৫শ জনের মত লুটপাটকারী ছিলেন তারা সবাই সেখানে আগুনে আটকা পড়ে যায়।

এদিকে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তেই থাকে। আশপাশের এলাকায় শিল্প কারখানা ও বাড়িঘরের লোকজনের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও কাজ করছে। 

ফুলবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক রেজাউল করিম (প্রশিক্ষণ) বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। অবকাঠামোগত ও ভেতরে থাকা টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারটি জটিল হয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কতক্ষণ লাগবে এটা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছুই ধারণা করা যাচ্ছে না। 

আরকে