বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের নির্দেশেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তিনি ও তার দোসরদের আমরা আইনের আওতায় আনবো।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে তার পেটোয়া বাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছেন। এই জনতার আন্দোলনে তার পতন ঘটেছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে নরসিংদীর মাধবদীর আটপাইকা গ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শ্রমিকদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও সব শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে প্রতিটি শহীদ পরিবার এই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ও যারা এই হত্যাকাণ্ড সংঘটনে মদদ জুগিয়েছে এবং প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছে সেটা প্রশাসন, পুলিশ বা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ক্যাডার হউক তারা কেউ বিচারের বাইরে থাকবে না। তবে আমাদের দল যারা নির্দোষ তাদের ওপর জুলুম করার নীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা তাদের ওপর কোনো মামলা করব না।

এর আগে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের মাটিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে, গণহত্যার জন্য তাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নাই। স্বৈরাচারী সরকার দীর্ঘ ১৬ বছরে দেশকে শুধু ধ্বংসই করে নাই, একেবারে খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়ে গেছে। তারা দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, দেশের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিতে ধ্বংস করেছে আর বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারা হেয় এমন কোনো কাজ নাই যে তারা করে নাই। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ছাত্র জনতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই হত্যার বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হতে হবে। যারা এই হত্যার পিছনে আছে সবার বিচার এই দেশে হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসাইন বিদুৎ, ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের কবর জিয়ারত করেন। পরে তারা শহীদদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

এমএ