ভারতের উজান থেকে আসা ঢলের পানি এখনো কসবা উপজেলায় প্রবাহিত হচ্ছে। পানির উচ্চ প্রবাহের ফলে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক মোড়-সংলগ্ন এলাকার সড়কটি ভেঙে গেছে। এতে কসবা থেকে কুমিল্লায় যাওয়ার সড়কটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বুধবার (২১ আগস্ট) থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আখাউড়া-কসবা প্লাবিত করে। বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাত ৩টায় পানির তোড়ে ভেঙে যায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক মোড়-সংলগ্ন কুমিল্লা যাওয়ার একমাত্র সড়কটি। এ ছাড়াও এই উপজেলার বায়েক, গোপীনাথপুর, কাইয়ুমপুরে ১৫টি গ্রামের পরিবার এখন পানিবন্দি রয়েছে। সেই সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কসবা-কুমিল্লা যাওয়ার বাইপাস সড়কটিরও।

শুক্রবার বিকেলে ভেঙে পড়া সড়ক এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাঁধের অন্তত ৮-১০ ফুট অংশ পুরো ধসে গেছে। ধসে পড়া বাঁধ দিয়ে অবিরত পানির স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিনটি গ্রামের কুটিয়া, কইখলা, হাতলা, মাতলা, বালুয়ারা, ধজনগর, রামপুর, লক্ষিপুর, কামালপুর, মইনপুরের গ্রামগুলোর বাড়িঘরে ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে। এতে অনেকেই তাদের নিজ বাস ভবন ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসেন।

স্থানীয় ও আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া বন্যাকবলিতরা বলেছেন, বায়েক ইউনিয়নের সালদা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে সালদা নদীর পানি বাঁধের ওপর দিয়ে গ্রামগুলো প্লাবিত করছে। তবে সলদা নদীতে কোনো স্টেশন না থাকায় পানির বিপৎসীমার ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমানের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে অভিযোগ করেছেন তারা। 

কসবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহরিয়ার মোক্তার বলেন, কসবা উপজেলায় ২৩৫০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এতে প্রায় ২৬ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। তিনটি ইউনিয়নের বন্যাকবলিতদের জন্য ১০ মেট্রিক টন চাল ও ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যাপীড়িতদের জন্য পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও বিভিন্ন গ্রামের আটকে পড়া পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মাজহারুল করিম অভি/এএমকে