ফাইল ছবি

সিকিমে পাহাড় ধসে ভেঙে গেছে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি বাঁধ। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা বাঁধে পানির চাপ দ্রুতই বাড়ছে। উজানের ঢল যে কোনো সময় বাংলাদেশে প্রবেশ করে মারাত্মক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, তিস্তার পানি বাড়লেও আপাতত তেমন বন্যার শঙ্কা নেই।

জানা গেছে, সিকিমে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর মালদহের গজলডোবা, বামনগোলা ও পুরাতন মালদহে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গজলডোবা বাঁধের পানি তিস্তার ডালিয়া পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। একই সময়ে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ২৮ দশমিক ৬১ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টের বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তার পানি বাড়লেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি নাও হতে পারে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক আছে।

এদিকে ভারতের মেঘালয় ও আসামে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পর হঠাৎ বড় বন্যার কবলে পড়েছে কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল। সিলেট বিমানবন্দরের রানওয়েতে পানি ওঠায় বন্ধ হয়ে গেছে বিমান চলাচল। সুনামগঞ্জের পর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিলেটও।

বন্যায় দেশের ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ২৯ লাখ ৪ হাজার ৯৬৪ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার৷। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা৷

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এফআরএস