টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার হাওড়া নদী ও জাজিরা খালে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বন্যার।

এছাড়া গত দুইদিনে সাত ইউনিয়নের ৩৬ গ্রামের ১ হাজার ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী (চ. দ.) মো. মনজুর হোসেন বলেন, এ মুহূর্তে হাওড়া নদী ও জাজীর খালসহ বিভিন্ন স্থানে পানি বিপৎসীমার ওপরে আছে। এছাড়া কালন্দি খাল, কাটা খাল ও জাজিরা খালের পানি বাড়ায় বন্যা হয়েছে। বুধবারের (২১ আগস্ট) তুলনায় আজ (বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট) হাওড়া নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর চেয়ে বেশি অতিক্রম করলে আরও এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে গতকালের চেয়ে আজ সকাল থেকে বন্দরের পাশে বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকছে। এতে বন্ধ হয়ে পড়েছে বন্দরের বাণিজ্য ও যাত্রী পারাপার। তাছাড়া উপজেলার বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ৩৬টির বেশি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে।

এর আগে বুধবার দিনগত রাত ২টায় খলাপাড়া সড়ক ও বৃহস্পতিবার ভোরে কর্নেল বাজার থেকে ইটনা সড়কের বাঁধের অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দায়িত্বরত সেনাবাহিনী সদস্যদের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হোসাইন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। 

ইউএনও গাজালা পারভীন জানান, আখাউড়ায় ৫৪টি প্রাইমারি বিদ্যালয় ও দুইটি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গতদের মধ্যে দেওয়া হবে।

মাজহারুল করিম অভি/এফআরএস