পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে আখাউড়া উপজেলার দুই ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভোরে ও বুধবার (২১ আগস্ট) দিবাগত রাতে পানির ঢলে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্নেল বাজার-ইটনা সড়ক ও মোগড়া ইউনিয়নের খোলাপাড়া থেকে আখাউড়া পৌরসভা যাওয়ার সড়ক ভেঙে যায়। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত বাঁধ মেরামত না করলে আরও অনেক এলাকা প্লাবিত হবে।

কর্নেল বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. জুয়েল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভারতে সীমান্তবর্তী এলাকার হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। পানির স্রোত এতটাই বেশি ছিল বুধবার রাতেই মনে হয়েছিল রাস্তাটি ভেঙে পড়বে। আজ ভোরে সড়কটি ভেঙে যায়। ভাঙার অপর পাশে আমার শ্বশুরবাড়ি। এখন তারা দুর্ভোগে জীবনযাপন করছে। কারণ দৈনন্দিন জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য কর্নেল বাজারে আসতে হয়।

শারমিন বেগম বলেন, ভোরে ইটনা সড়কটি ভেঙে যায়। তাড়াহুড়ো করে ঘর থেকে যতটুকু পেরেছি মালামাল বের করেছি। কিন্তু বেশির ভাগ জিনিসপত্র, খাবারদাবার, পণ্য ঘরেই রয়ে গেছে।

অন্যদিকে মোগড়া ইউনিয়নের খোলাপাড়া এলাকার দুলাল ভূঁইয়া জানান, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে খোলাপাড়া থেকে আখাউড়া পৌরসভায় যাওয়া সড়কটি ভেঙে যায়। এতে তার দুই ভাই সেলিম ভূঁইয়া ও আব্দুর রউফের ঘর ভেঙে গেছে। এখন তারা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও ভাঙা সড়কগুলো পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।

এ সময় তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রধান সড়ক হিসেবে ইটনা ও খোলাপাড়া সড়ক ভেঙেছে। তাছাড়া আরও সড়কে ভাঙন রয়েছে বলে জেনেছি। আখাউড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি। গতকাল পর্যন্ত তাদের মাঝে ১৫ টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

মাজহারুল করিম অভি/এমজেইউ