আবুল কালাম আজাদ

কুমিল্লার দেবিদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আব্দুর রাজ্জাক রুবেল নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবুল কালাম আজাদ, তার ছোট ভাই দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। 

সোমবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কামাল হোসেনের আদালতে নিহত রুবেলের চাচাতো ভাই বিএনপি নেতা আবুল কাসেম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তিনি দেবিদ্বার উপজেলা সদরের মৃত রেনু মিয়ার ছেলে। 

মামলায় আবুল কালাম আজাদকে এক নম্বর এবং তার ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলায় মোট ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতসহ মোট ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান রনি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল কাইয়ুম, শাহীনুর লিপি, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ, হাজী জসিম, মোকবল হোসেন মুকুল, হাজী জালাল, শাহজাহান, পৌর কাউন্সিলর বাহির মোল্লা প্রমুখ। 

আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন মিয়াকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আরিফুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে দেবিদ্বার নিউ মার্কেট ও আশপাশের এলাকায় ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ গুলি চালানোর নির্দেশে দিয়ে নিজেরাও বিক্ষোভ মিছিলে গুলি চলান। অন্যান্য আসামিরা ঘটনাস্থলে বোমা, ককটেল নিক্ষেপসহ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালান। ঘটনাস্থলেই গুলিবিব্ধ হয়ে রুবেল মারা যান। আহত হন আরও অর্ধশতাধিক। 

দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নয়ন মিয়া বলেন, এ বিষয়ে আদালতের আদেশ থানায় আসেনি। আদেশ হাতে পেলে নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরিফ আজগর/আরএআর