বাগমারায় সাবেক এমপি, চেয়ারম্যান ও মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম, তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র খন্দকার শায়লা পারভীনসহ আওয়ামী ও যুবলীগের ৮২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ তুলে রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন যুবদল কর্মী আবদুল মতিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় তাহেরপুর পৌর যুবলীগের সদস্য সচিব সোহেল রানাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মামলা সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জন আসামি লাঠি, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক, পিস্তল ও ককটেল নিয়ে হুকুম দিয়া বলে, ‘শালাকে গুলি করে মারিয়া ফেল’, উক্ত হুকুম পাওয়া মাত্রই আসামি সবুজ তার হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়া মতিনের মাথায় আঘাত করে। এতে কপালে জখম হয়। আসামি সোহেল রানা ও এরশাদ আলীর কাছে থাকা পিস্তল দিয়া মতিনকে গুলি করতে থাকে। আসামি শামীম ওসমানের হাতে থাকা হাসুয়া দ্বারা তার ডান পায়ের উরুর ওপরে আঘাত দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তিনি পালানোর চেষ্টা করেন এবং পাশের পুকুরে লাফ দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন।
পরে আসামিরা ধাওয়া করে তাকে ধরে পুকুর থেকে তুলে হকিস্টিক ও রড দিয়ে মারধর করেন। এ ছাড়া গুলি করা হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে একজনের বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসা দেন। সেখান থেকে পরিবেশ অনুকূলে এলে অন্যত্র নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মামলার বাদী আবদুল মতিন জানান, সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী শায়লা পারভীন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলামের নির্দেশে হামলা করা হয়েছে। এটি একটি রাজনৈতিক মামলা। মামলা দিয়ে তাদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করা হচ্ছে।
বাগমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ঘর-বাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, হাটবাজারে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে এই মামলায়। এ মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপর আছে।
শাহিনুল আশিক/এএমকে