নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্কুলছাত্র ইয়াসিন ইসলাম হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নাটোরের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ ১১১ জনের নাম হত্যা মামলা করা হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে নিহত ইয়াসিনের বাবা ফজের আলী বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এজহার পাওয়ার পরে মামলাটি নথিভুক্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। 

এজাহারে উল্লিখিত অন্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাটোর কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, সহ-সভাপতি ও নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, প্যানেল মেয়র আরিফুল ইসলাম মাসুম, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মোর্তজা আলী বাবলু, নাটোর কোর্টের জিপি আব্দুল মালেক শেখ, নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল, জেলা যুবলীগ সভাপতি এহিয়া চৌধুরী, নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, তেবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান, সাবেক এমপি শিমুলের ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম সাগর ও তার ভাগ্নে নাটোর পৌরসভার কাউন্সিলর নাফিউ ইসলাম অন্তরসহ ১১১ জন। এছাড়া অজ্ঞাত আরও অনেককে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

ফজের আলীর করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তার ছেলে ইয়াসিন ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল। ৪ আগস্ট সকালে ইয়াসিন শহরের মাদরাসা মোড়ে আন্দোলন করার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুকুমে নাটোর দুই আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ অন্য আসামিরা তার ছেলেকে মারধর করেন। পরে তারা কান্দিভিটার শিমুলের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে তাকে নিয়ে আটকে রাখেন। পরদিন ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে ইয়াসিনকে আটকে রেখেই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজ বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যান শফিকুল ইসলাম। এর পরের দিন সকালে তার বাড়িতে গিয়ে দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে ইয়াসিনের পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফজের আলীর দায়ের করা এজাহারটি নথিভুক্ত করার জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে।

গোলাম রাব্বানী/এফআরএস