পিরোজপুরে ১৬ বছর পর প্রকাশ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পিরোজপুরে জামায়াত তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। 

আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল। 

তিনি বলেন, আমাদের দেশের তরুণ ছাত্ররা আমাদেরকে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। এই ছাত্র সমাজ নিয়ে বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

আল্লামা সাইদী ফাউন্ডেশনের মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীর মেজো ছেলে ও আল্লামা সাইদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম বিন সাঈদী। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও মুফাসসিরে কোরআন হযরত মাওলানা তারেক মনোয়ার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-আমিন, মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী, মাওলানা আবুল কালাম আজহারী, পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাইদী, পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন ফরিদ প্রমুখ। 

এ সময় বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্ররা দেশকে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করেছে। সবাইকে একত্রিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করে যেতে হবে। শেখ হাসিনার পতন কোনো দলের একার বিজয় নয়, এটা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়। শেখ হাসিনার পালানোর খবরে সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে দেশকে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করেছে।

দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বক্তারা বলেন, ফাঁসি দিতে না পেরে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীকে চিকিৎসার নাম করে হাসপাতালে নিয়ে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করা হয়েছে। দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীর হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে।

দোয়া অনুষ্ঠানে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়।

আরএআর