বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বুলেটের গুলির চেয়ে ইন্টারনেটের গুলির শক্তি বেশি তা ছাত্র-জনতা দেখিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। বাংলাদেশে যত স্বৈরশাসকই আসুক, যারা গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে তাদেরকে পরাভূত করে ছাত্র-জনতা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত তাহমিদ ভূঁইয়ার কবর জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, যে আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে, যে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ধারক বলে দাবি করে, সেই আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। তারা এক নায়কতন্ত্র কায়েম করে বছরের পর বছর বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ন্যায়-নীতিও ক্ষুন্ণ করেছে। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে জালেমের সরকার কায়েম করেছে। তার প্রতিবাদ করার জন্য এই তাহমিদ রাজপথে তার তাজা রক্তে ঢেলে দিয়ে শহীদ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের ছাত্র-জনতা বাংলাদেশের তথাকথিত কলুষিত রাজনীতিকে প্রত্যাখান করেছে।

ড. মঈন খান তাহমিদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর চিনিশপুরের পারিবারিক কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং তাহমিদের বাবার হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।

এ ছাড়াও নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পলাশ উপজেলার আমজাদ হোসেনের কবর জিয়ারত ও নিহতের পরিবারের হাতে নগদ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন ড. আব্দুল মঈন খান।

এ সময় পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এরফান আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নরসিংদী জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান সরকার, পলাশ উপজেলা যুবদলের সভাপতি নিছার আহমেদ খান ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলম মোল্লাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

তন্ময় সাহা/এএমকে