বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ভোর ৬টার দিকে বরগুনা পৌরসভার আমতলার পাড় নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা থেকে পুলিশের একটি টিম বরগুনায় এসে জাহাঙ্গীর কবিরকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেন। তবে কী কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানায়নি পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার পর বরগুনায় বিশৃঙ্খলা এবং প্রতি বিপ্লবের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এই অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এর আগে গত সোমবার ১২ আগস্ট রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির। পরে তাদের কথপোকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।  

মোবাইলে কাথা বলা ওই ভিডিওর এক পর্যায়ে বলতে শোনা যায়, ‘আপা আপনি ঘাবড়াবেন না। আপনি ঘাবড়ালে আমরা দুর্বল হয়ে যাই। আমরা শক্ত আছি।’

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঘাবড়াব কেন। আমি ভয় পাইনি। আপনারা দেখছেন, আমাদের পুলিশ বাহিনীকে মেরে কীভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমাদের কর্মীদের মেরেছে। বোরকা পরে মেরেছে। এ দেশটা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। আপনারা যেভাবে আছেন থাকেন।

বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবিরকে ঢাকার একটি স্পেশাল টিম ও জেলা পুলিশের অভিযানে আটক করা হয়েছ। ১৫ আগস্ট সাধারণ ছুটি বাতিল হয়েছে, সবকিছু মিলিয়ে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মানুষকে হয়রানি, চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ প্রাপ্তির ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আব্দুল আলীম/আরকে