অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হয়েছেন সুনামগঞ্জের মধ্যনগরের বাসিন্দা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। রাজধানীর বাইরে থাকায় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) তিনি শপথ গ্রহণ করতে পারেননি। তবে তার উপদেষ্টা হওয়ার খবরে হাওর বেষ্টিত মধ্যনগর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই বিরেশ রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, তিনি (ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার) ময়মনসিংহে থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে শপথ নিতে পারেননি। তিনি সরকারে থাকার প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন। সকালে রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন তিনি।

অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় ময়মমনসিংহ মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক। তিনি সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলা সদরের মধ্যনগর বাজারের ডা. গোপী রঞ্জন রায় পোদ্দার ও মাধবীলতা রায় পোদ্দারের বড় ছেলে।

১৯৬৩ সালে সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। সুনামগঞ্জ  সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন তিনি।

প্রয়াত ডা. গোপী রঞ্জন রায় পোদ্দার (এমবিবিএস) আমৃত্যু নিরলসভাবে হাওরবেষ্টিত মধ্যনগর এলাকার মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন। তিনি বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ক্ষেতমজুর সমিতির নেতা ছিলেন।

ডা. গোপী রঞ্জন রায় পোদ্দারের তিন ছেলে। দ্বিতীয় ছেলে বিকাশ রঞ্জন রায় পোদ্দার স্বপরিবারে কানাডাতে বসবাস করছেন। ছোট ছেলে বিরেশ রঞ্জন রায় পোদ্দার চলচ্ছিত্র নির্মাতা। বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

২০২০ সালের ২৭  ফেব্রুয়ারি তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

মনোচিকিৎসার পাশাপাশি অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার লেখালেখির সঙ্গেও জড়িত। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে সামাজিক চেতনার মনস্তত্ত্ব (২০১৬), এপিকুরস, আধুনিকতা ও আমরা (২০১৮), সিগমুন্ড ফ্রয়েড এবং অফ্রয়েডীয় ফ্রয়েডবাদীগণ (২০২০)।

রায়হান আলীম তামিম/এএমকে