দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী, রোভার স্কাউট, বিএনসিসির সদস্য বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করছে। তাদের স্বাগত জানিয়ে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সালেহীন তানভীর গাজী বলেছেন, সমাজটা আমাদের সবার, এজন্য আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করব।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জয়পুরহাট সদর থানা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নূরে আলম, সেনাবাহিনীর জয়পুরহাটের দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুবায়ের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে এক ভুক্তভোগীর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার মাধ্যমে থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইশতিয়াক আলম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির উপস্থিত ছিলেন।

সেনাবাহিনীর জয়পুরহাটের দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুবায়ের বলেন, সেনাবাহিনীর টহল কার্যক্রম অব্যাহত আছে। জেলার পাঁচ থানার কার্যক্রম আজকে থেকে শুরু হয়েছে। আমরা জয়পুরহাট জেলাবাসীর কাছে সহযোগিতা কামনা করি। বিশৃঙ্খলার তথ্য পেলে আমরা আমাদের সাধ্য মতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী বলেন, গত কয়েকদিন পুলিশের সেবা বিভিন্ন কারণে দেওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের এক্টিভিটি ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করা একেবারেই অসম্ভব। সেনাবাহিনী সকল উপজেলায় যাচ্ছে। এই কয়দিনে যা হয়েছে সেসব বিষয়ে মানুষ গিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে পারে।

তিনি বলেন, আপাতত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। এটি সময় সাপেক্ষ বিষয়। সাধারণ শিক্ষার্থী, রোভার স্কাউট, বিএনসিসির সদস্য বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করছে। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। সমাজটা আমাদের সবার, এজন্য আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করবো।

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর বিক্ষুব্ধ জনতার আক্রমণের শিকার হয়েছে জয়পুরহাট সদর থানা। গত ৫ আগস্ট বিকেলে তারা থানায় হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এরপর পুলিশ শূন্য হয়ে পড়ে এই থানা।

চম্পক কুমার/আরএআর